পাওনা টাকা নিয়ে দ্বন্দ্ব: যুবকে কোপানোর ঘটনায় মামলা

পাওনা টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে বটি দিয়ে কুপিয়ে জাফর (২৭) নামে এক যুবক আহত কারার অভিযোগ উঠেছে এসএম জাকির নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর)  ভুক্তভোগীর ছোট ভাই ইব্রাহিম বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা করেছেন।

গত সোমবার বিকেলে আগানগর ইউনিয়নের ইমামবাড়ী জাবালে নুর টাওয়ারের অষ্টম তলায় ঘটনাটি হয়। 

অভিযুক্ত এসএম জাকির নুর টাওয়ারের বাসিন্দা আবুল কালামের ছেলে। তিনি উত্তরা শিল্প পুলিশে কর্মরত বলে বাদী পক্ষ জানিয়েছে।

এ ঘটনার সিসিটিভি’র একটি ফুটেজ প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। ফুটেজে দেখা যায়, ভবনের অষ্টম তলার সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে আহত জাফর অভিযুক্ত জাকিরের বাবা আবুল কালামের সঙ্গে কথা বলছেন। এসময় জাকিরের মা জাহানারা সপ্তম তলা থেকে সিঁড়ি দিয়ে উঠে জাফরকে চড় মারেন। এসময় রান্নাঘর থেকে বটি এনে জাফরের ডান পায়ে কোপ মারেন জাকির। তিনি জাফরকে আবারো আঘাত করার চেষ্টা করেন। তবে অন্যদের বাধায় পারেননি।

মামলার বাদী ইব্রাহিম বলেন, ‘জাকিরের বাবা আবুল কালামের কাছে আমরা ২৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা পাই। আমাদের গার্মেন্টসের ব্যবসা। আবুল কালাম আমাদের কাপড় সংগ্রহ করে দেন। তিনি আমাদের কাছ থেকে অনেক সময় অগ্রিম টাকা নেন। এই টাকা নেওয়ার পর আর ফেরত দিচ্ছেন না। এমনকি কোনো পণ্যও দিচ্ছেন না। কিছু বললেই, ছেলে পুলিশে চাকরি করে এই ভয় দেখান আবুল কালম। জাকির উত্তরা শিল্প পুলিশে কনস্টেবল পদে কর্মরত।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনার দিন আমার বড় ভাই পাওনা টাকা আনতে ওই বিল্ডিংয়ে আবুল কালামের ভাড়া বাসায় যান। সেখানে তাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তারা আমার ভাইকে মারধর করে। এসময় আবুল কালামের ছেলে জাকির বটি দিয়ে ভাইয়ের ডান পায়ের সামনের অংশের হাঁটুর নিচে কোপ দেন। গুরুতর অবস্থায় আমরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে ভাইক পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ডে করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার পঙ্গু হাসপাতালে জাফরের পায়ে অপারেশন হয়েছে। তার স্বাভাবিক হতে অনেক সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।’ 

অভিযুক্ত এসএম জাকির মুঠোফোনে বলেন, ‘আমার বাবা-মাকে অশ্লীল ভাষায় বকাবকি করায় ক্ষুব্ধ হয়ে কোপ দিয়েছি। তারা আমাদের অনেক জ্বালাচ্ছে।’

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম জানান, ‘এ ঘটনায় অভিযুক্ত জাকিরসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’