ঢাকা     শনিবার   ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ১৩ ১৪৩১

ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের জাতীয় মর্যাদা দেয়ার দাবি জোনায়েদ সাকির

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:০১, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪  
ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের জাতীয় মর্যাদা দেয়ার দাবি জোনায়েদ সাকির

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের জাতীয় বীরের মর্যাদা দিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। একই সঙ্গে শহীদদের তালিকা যথাযথভাবে তৈরি ও প্রকাশ করার দাবি জানান তিনি।

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ শহরের হোসিয়ারী সমিতি মিলনায়তনে জেলা গণসংহতি আন্দোলন আয়োজিত ‘ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণ ও শ্রদ্ধাঞ্জলি’ কর্মসূচিতে তিনি এ দাবি জানান। 

সরকারকে উদ্দেশ্য করে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আমরা বলব, এই খুনিরা কোনোভাবেই যাতে আড়ালে যেতে না পারে। ন্যায়বিচারের প্রক্রিয়া যাতে কোনোভাবে বাধাগ্রস্ত না হয়। যদি বাধা দিতে পারে, যদি খুনিরা আড়ালে যেতে পারে, আর আপনারা চুপচাপ বসে থাকেন তাহলে আপনারা অভ্যুত্থানের ওপর দাঁড়িয়ে এই সরকার গঠন করেছেন কেন? কেন শপথ নিয়েছেন? বিচার আপনাদের করতেই হবে। ন্যায়বিচারের উপর দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ নতুন যাত্রা করবে। তাই খুনি ও নির্দেশদাতাদের অবিলম্বে আইন এবং বিচারের মুখোমুখি করুন। এটাই বাংলাদেশের মানুষের প্রধান আকাঙ্ক্ষা। অন্যথায় বাংলাদেশের মানুষ কোনোভাবেই এটা সহ্য করবে না। তার জন্য আমরা লড়াই করব। আমরা ন্যায়বিচারের উপর দাঁড়িয়েই নতুন বাংলাদেশের যাত্রা করব।’ 

জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘শহীদদের আত্মত্যাগ ও গৌরবের ইতিহাস ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে সরকারকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। শহীদদের কোনোভাবে অবহেলা বা ভুলে যাওয়ার চেষ্টা সফল হতে দেওয়া হবে না। শহীদদের পরিবারকে যেন কারো দ্বারে দ্বারে ঘুরতে না হয়, তাদেরকে যেন হয়রানি হতে না হয়, সরকারকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এছাড়া আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থাসহ তাদের জীবনের নিশ্চয়তা ও নিরাপত্তার ব্যবস্থাও সরকারকে করতে হবে। পাশাপাশি শহীদদের পরিবারের সদস্যদের প্রাপ্য মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রত্যেক শহীদ পরিবারের দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে।’ 

জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘সরকারকে বলব দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই কাজগুলো সম্পন্ন করেন। এটা আপনাদের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। আমরা বলেছি ন্যায়বিচারের উপর দাঁড়িয়ে নতুন বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হবে। আজকে কোনো শহীদ বা আহত পরিবারকে এই আহাজারি যেন করতে না হয়, আমরা বিচার পাব কিনা। কেন খুনিরা এখনও ঘুরে বেড়াচ্ছে। যারা এই গণহত্যার নির্দেশদাতা তারা কোথায় গেল, কর্তৃপক্ষকে জবাব দিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘স্বৈরাচার সরকারের প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রীরা কোথায় কীভাবে পালিয়ে গেলেন? আমরা শুনতে পাচ্ছি অনেকে পালিয়ে গেছেন। এখনও নাকি পালিয়ে যাচ্ছেন। কীভাবে তারা পালিয়ে যাচ্ছেন? আইন ও বিচারের মুখোমুখি না হয়ে কীভাবে তারা পালিয়ে যেতে পারছেন? সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্র, কর্তৃপক্ষ ও সরকারকে এর জবাব দিতে হবে। যারা গুলি করেছে তারাসহ খুনের নির্দেশদাতাদের প্রত্যেককে আমরা আইন ও বিচারের মুখোমুখি দেখতে চাই।’

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- শহীদ ও আহতদের পরিবারের সদস্যসহ নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জীবন, গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন, মহানগর কমিটির সমন্বয়কারী নিয়ামুর রশীদ বিপ্লব, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের জেলা সভাপতি ফারহানা মানিক মুনা প্রমুখ।

অনিক/ইমন


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়