গাজীপুরে গুলি ছুড়ে ব্যাংকের টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলা

গাজীপুরে সোনালী ব্যাংকের একটি উপশাখার দুই কর্মকর্তা ও দুই আনসার সদস্যকে কুপিয়ে ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে ব্যাংকের সাত লাখ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে গাজীপুর সদর থানায় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের আসামি করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত টাকা লুটের সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। 

মামলার বাদী হয়েছেন সোনালী ব্যাংক গাজীপুর কোর্টবিল্ডিং শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) গাজী শহীদুজ্জামান। 

পুলিশ ও ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গাজীপুরের সোনালী ব্যাংকের সাত লাখ ৮ হাজার ৩৭৪ টাকা লুট হওয়ায় ঘটনায় গতকাল রোববার রাতেই একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। টাকা লুটের সঙ্গে জড়িত কাউকে চিহ্নিত করতে না পারায় মামলায় কারো নাম উল্লেখ করা হয়নি। মামলা ৮ থেকে ১০ জন অজ্ঞাত দুর্বৃত্তকে আসামি করা হয়েছে। শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল উপশাখায় সকাল থেকে কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া সোনালী ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আজ সোমবার ওই উপশাখাটি পরিদর্শনের কথা রয়েছে। 

অপরদিকে ছিনতাইকারীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত সোনালী ব্যাংকের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল উপ-শাখার ইনচার্জ আতিকা পারভীন সুরভী (৩৯) ও ক্যাশ অফিসার ফারজানা নাজনীন সিমু (২৭) এবং আনসার সদস্য আল আমিন (৩০) ও রাজু মিয়া (৪০) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। 

গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মো. আইনুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে চারজনকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় আনা হয়েছিল। তাদের সকলের চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের হাতে ও শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। চারজনই আশঙ্কা মুক্ত। 

সোনালী ব্যাংকের উপ মহাব্যবস্থাপক মো. শফিজ উদ্দিন বলেন, টাকা লুটের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। উপ শাখাটি আজ খোলার বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং আমরা পরিদর্শন শেষে খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 

গাজীপুর সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাহেদুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। 

উল্লেখ, জেলার শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল উপশাখা থেকে সাত লক্ষাধিক টাকা নিয়ে দুই ব্যাংক কর্মকর্তা দুই জন আনসার সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে বের হন। ব্যাকে টাকা ছিল ৭ লাখ ৮ হাজার ৩৭৪ টাকা। বিকেল পাঁচটার দিকে তারা রথখোলা এলাকায় পৌঁছালে ৬টি মোটরসাইকেলে করে ১২ জন যুবক এসে তাদের গতি রোধ করেন। প্রত্যেকের হাতে অস্ত্র ছিল। তারা অটোরিকশা থামিয়ে টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। বাধা দিলে ফাঁকা গুলি ছুড়ে ও চারজনকে কুপিয়ে টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যান। আশপাশের লোকজন আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।