ঢাকা     সোমবার   ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ১৫ ১৪৩১

নরসিংদীতে বিয়ে না করে বর চলে যাওয়া বরের ৫ লাখ টাকা জরিমানা 

নরসিংদী প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৫২, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪  
নরসিংদীতে বিয়ে না করে বর চলে যাওয়া বরের ৫ লাখ টাকা জরিমানা 

নরসিংদীতে বিয়ে করতে এসে ১৭৫ জন বরযাত্রী নিয়ে খাওয়া-দাওয়া শেষে বিয়ে না করে চলে যাওয়ার ঘটনায় বরকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। 

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অফিস কার্যালয়ে এক সালিশের মাধ্যমে বরকে এ জরিমানা করা হয়।

কনের মা সেলিনা বেগম ও প্রতিবেশীরা জানান, দুই পরিবারের সম্মতিতে কথাবার্তা শেষে বিয়ের আয়োজন করা হয়। বিয়ের দিন গত ২০ সেপ্টেম্বর বিকেলে শিবপুর উপজেলার সাধারচর ইউনিয়নের কালুয়ারকান্দা গ্রামে ১৭৫ জন বরযাত্রী নিয়ে খাওয়া-দাওয়া শেষে বিয়ে না করেই আসর থেকে চলে যায় বর। সাথে চলে আসে সকল বরযাত্রী। এই ঘটনাটি ২৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার জানাজানি হয়। সামাজিকভাবে অনেক রটনার শিকার হতে হয়। এতে মেয়ের পরিবার মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। 

কনের মা আরও জানান,  বর উপজেলার আয়ূবপুর ইউনিয়নের ঘাসিরদিয়া গ্রামের আলতাব হোসেন সরকারের ছেলে সাব্বির হোসেন সরকার (৩০)। গত ২০ সেপ্টেম্বরের আগে আলোচনা করে বিয়ের দিন তারিখ ঠিক হয়। সময়মতো বর তার আত্মীয়স্বজনসহ বরযাত্রী নিয়ে আসেন। খাওয়া-দাওয়া শেষে বিয়ের কাবিননামায় সই করবে এ সময় বরের বড় বোন সাবিনা ও ছোট বোন নিপা বলেন, কনের আগে বিয়ে হয়েছে, দুই বাচ্চা রয়েছে এই বিয়ে হবে না।

তিনি আরও জানান, বিয়ের কার্যক্রম শেষ না করেই আসর থেকে বরের লোকজন বরকে নিয়ে চলে যায়। কনের আগে বিয়ে হয়েছে এটা জানতো তারা। কিন্তু দুই বাচ্চা আছে বলে যে অভিযোগ দিয়েছে সেটি সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। এ বিয়ে উপলক্ষে খাওয়া-দাওয়া ও ডেকোরেশন বাবদ আড়াই লাখ টাকা খরচ হয়। ঘটনার পরে বরের বাড়ির এলাকার আয়ুবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান সরকারকে জানালে তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি।

এ বিষয়ে বরের বড় বোন সাবিনা বলেন, কনের আগে বিয়ে হয়েছে আর বাচ্চা আছে এটা আমরা আগে জানতাম না। বিয়ের দিন কনের প্রতিবেশিদের কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পারি। 

চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান সরকার বলেন, আমি বর পক্ষের লোকজনকে বলেছিলাম বসে মীমাংসা করতে। তারা আসেনি। শিবপুরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ আসিফ, রাকিব, সুমনা ও সাহেদের কাছে কনের মা অভিযোগ করলে তারা বরের বাড়িতে গেলে বর ও বরের বাবাকে না পেয়ে তারা থানায় ফোন দেয়। খবর পেয়ে বরের মামাকে পুলিশ থানায় নিয়ে আসেন।  থানায় ওসি উপস্থিত না থাকায় ২৯ সেপ্টেম্বর বর ও কনেসহ তাদের লোকজনের উপস্থিতিতে ইউএনও অফিসে মিমাংসা করা হয়। এ সময় বরকে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিবপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সিমন সরকার, শিবপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আফজাল হোসেন, শিবপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম খোরশেদ আলম, সাধারণ সম্পাদক শেখ মানিক, মুক্তিযোদ্ধা বেলায়েত হোসেন ভুঁইয়া প্রমুখ।

হৃদয়/টিপু


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়