গ্যাসের ট্যাংকারের লিকেজ থেকে আগুন, অন্তঃসত্ত্বাসহ দগ্ধ ৩
কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
গাজীপুরের শ্রীপুরে লিকুইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) বহনকারী একটি ট্যাংকার মেরামতের সময় গ্যাস ছড়িয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এসময় এক অন্তঃসত্ত্বাসহ তিন নারী দগ্ধ হয়েছেন। গুরুতর অবস্থায় তাদের মধ্যে একজনকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার রাজাবাড়ী ইউনিয়নের রাজাবাড়ী বাজারের পাশে ঘটনা হয়। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
দগ্ধরা হলেন- বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার খারকুলিয়া গ্রামের এমদাদুল হকের স্ত্রী হেলেনা খাতুন (৫৪), লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার দইখোয়া গ্রামের সামসুল হকের স্ত্রী হালিমা খাতুন (৪২) ও হালিমা খাতুনের পুত্রবধূ অন্তঃসত্ত্বা রিতা আক্তার (২১)। তারা সবাই স্থানীয় মোহাম্মদ আলীর বাড়ির ভাড়াটিয়া।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে রাজাবাড়ী বাজারের শ্রীপুর সড়কের পাশে এলপিজি বহনকারী একটি ট্যাংকার মেরামতের কাজ করছিলেন কয়েকজন লোক। এসময় লিকেজ থেকে গ্যাসের সঙ্গে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুন আশপাশের বাড়িতেও ছড়িয়ে পড়ে। একটি বাড়ির উঠানে মাছ কাটছিলেন কয়েকজন নারী। আগুনে হালিমা আক্তার, হেলেনা ও অন্তঃসত্ত্বা রিতা আক্তারের শরীর দগ্ধ হয়। স্থানীয় লোকজন আশপাশের আগুন নেভানো কাজে ব্যস্ত থাকার সময় গ্যাস বহনকারী ট্যাংকার নিয়ে পালিয়ে যান চালক।
রাজাবাড়ী বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্যাস বহনকারী ট্যাংকারটি পাওয়া যায়নি। আগুন লাগার খবরে আশপাশে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তিন নারী বাড়িতে কাজ করার সময় দগ্ধ হন। তাদের উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সবার অবস্থা খারাপ। আগুনে আশপাশের বাঁশঝাড়, ঘরবাড়ি ও গাছপালা পুড়ে গেছে। সড়কের পাশের একটি দোকানও পুড়ে গেছে।
গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সার্জারি (নারী) বিভাগের চিকিৎসক আবু সাঈদ সজিব জানান, তিনজন দগ্ধের মধ্যে হালিমার শরীরের ৫০ ভাগ পুড়ে গেছে। তার অবস্থা সংকটময়। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে। বাকি দুজনের মধ্যে অন্তঃসত্ত্বা নারীর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
রফিক/মাসুদ