ঢাকা     সোমবার   ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ১৫ ১৪৩১

কুষ্টিয়ায় ক্রসফায়ারে নিহতের ৬ বছর পর থানায় মামলা

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:০৭, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪  
কুষ্টিয়ায় ক্রসফায়ারে নিহতের ৬ বছর পর থানায় মামলা

কুষ্টিয়ায় ক্রসফায়ারে তিন জন নিহত হওয়ার ছয় বছর পর পরিবারগুলো থেকে মামলা করা হয়েছে।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে জেলার দৌলতপুর থানায় পৃথকভাবে তিনটি এজাহার জমা দেন নিহতদের পরিবারের সদস্যরা। তদন্ত শেষে মামলা রুজু হবে বলে জানিয়েছেন দৌলতপুর থানা পুলিশ। 

একটি মামলায় কুষ্টিয়ার সাবেক পুলিশ সুপার তানভীর আরাফাতসহ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়েছে। 

আরো পড়ুন:

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৮ মে যুবদল কর্মী আলতাব হোসেন পুলিশের ক্রসফায়ারে নিহত হন। ২০২০ সালের ২৫ জুলাই ক্রসফায়ারে নিহত হন বিএনপি কর্মী কুদরত আলী। ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর পুলিশের ক্রসফায়ারে নিহত হন বিএনপি কর্মী মদন আলী। এই তিন পরিবারের পক্ষ থেকে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমানের কাছে পৃথক তিনিটি এজাহার দাখিল করা হয়।

মামলায় কুষ্টিয়ার তৎকালীন পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত, দৌলতপুর থানার ওসি শাহ দারা খান, আরিফুর রহমান ও ইন্সপেক্টর নিশিকান্তসহ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়েছে। একইসঙ্গে এসব মামলায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়েছে। 

ক্রসফায়ারে নিহত মদন আলীর ভাই ও মামলার বাদী কদম আলী বলেন, ‘আমার ভাই বিএনপি করতো। আওয়ামী লীগের লোকজন তাকে আওয়ামী লীগে যোগ দিতে চাপ দিতো। সে রাজি না হওয়ায় আওয়ামী লীগের নেতারা বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা মামলা দিয়ে পুলিশকে দিয়ে ক্রসফায়ার করিয়ে তাকে হত্যা করেছে।’
 
দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা বলেন, গত ১৫ বছর মামলা করার মতো কোনো পরিবেশ ছিল না। বর্তমানে দেশে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় মামলাগুলো করা হয়েছে।

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘এজাহারগুলো গ্রহণ করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই ধরণের এজাহারে পৃথক তিনটি মামলা হওয়ার সুযোগ নেই। একটি মামলা হবে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন কর্তৃপক্ষ।’ 

কাঞ্চন/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়