ঢাকা     মঙ্গলবার   ০১ অক্টোবর ২০২৪ ||  আশ্বিন ১৬ ১৪৩১

রাজশাহীর যুবদল-ছাত্রদলের সাবেক দুই নেতা বহিষ্কার

রাজশাহী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:০০, ১ অক্টোবর ২০২৪  
রাজশাহীর যুবদল-ছাত্রদলের সাবেক দুই নেতা বহিষ্কার

ড. বিশ্বজিতের কার্যালয়ে প্রবেশ করা তরুণরা। ছবি: সিসিটিভি ফুটেজ থেকে নেওয়া

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের রাজশাহী আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালককে তার কার্যালয় থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগে সাবেক এক যুবদল ও আরেক সাবেক ছাত্রদল নেতাকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। 

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজশাহী মহানগর বিএনপির আলাদা দুই চিঠিতে এ দুজনকে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়।

এ দুজন হলেন- রাজশাহী মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট ও রাজশাহী কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তোরাব আলী পারভেজ। 

মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈশা, সদস্য সচিব মামুন-অর-রশিদ ও যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, সোমবার রাজশাহী অঞ্চলিক শিক্ষা ভবনে অবৈধভাবে তালা ঝোলানো, পরিচালক অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ব্যানার্জীকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান এবং তাকে অফিস থেকে বের করে দেওয়ার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে আবুল কালাম আজাদ ও তোরা আলী পারভেজকে বিএনপির প্রাথমিক সকল সদস্য পদ থেকে অস্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হলো। পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য চিঠি কেন্দ্রীয় দপ্তরেও পাঠানো হলো।

এর আগে সোমবার বিকালে একদল তরুণ মাউশির আঞ্চলিক পরিচালক অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ ব্যানার্জীর অফিসে যান । ‘আমরা স্থানীয়’ পরিচয় দিয়ে তারা পরিচালককে কার্যালয় থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য চাপ দেন। একপর্যায়ে পরিচালক মাউশির মহাপরিচালককে ফোন করার জন্য মোবাইল ফোন হাতে তোলেন। কিন্তু ওই তরুণেরা তাকে ফোন করতে বাধা দেন। চাপের মুখে অধ্যাপক ব্যানার্জী কার্যালয় থেকে বের হয়ে যান। এরপর ওই তরুণেরা কার্যালয়ে তালা দেন। এই তরুণেরা সাবেক যুবদল নেতা আবুল কালাম আজাদের অনুসারী বলে অভিযোগ।

জানতে চাইলে আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘ওরা কেউ আমার লোক না। তারা দলীয় লোকও না। তারা সাধারণ ছাত্র-জনতা। তারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে। এতে আমার সমর্থন ছিল। এটা যদি আমার অপরাধ হয়, তাহলে অপরাধ। এই কারণে আমাকে বহিষ্কার করলে দলের জন্যই ক্ষতি।’

অফিস থেকে বের করে দেওয়া হলে মাউশির আঞ্চলিক পরিচালক অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ব্যানার্জী বিষয়টি বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরকে জানান। বিভাগীয় কমিশনার বলেন, যারা ওই কর্মকর্তার দপ্তরে গিয়েছিলেন তারা কেউ শিক্ষার্থী নয়। কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে তারা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন। এভাবে আইন হাতে তুলে নিয়ে কাউকে কার্যালয় ত্যাগ করতে বাধ্য করা যাবে না। এই বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়া যাবে না। পরে রাতেই দুই সাবেক নেতাকে বহিষ্কারের কথা জানায় মহানগর বিএনপি।

কেয়া/টিপু


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়