ঢাকা     মঙ্গলবার   ০১ অক্টোবর ২০২৪ ||  আশ্বিন ১৬ ১৪৩১

খানাখন্দে বেহাল সড়ক, চরম ভোগান্তি

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:১০, ১ অক্টোবর ২০২৪  
খানাখন্দে বেহাল সড়ক, চরম ভোগান্তি

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার কালই মোড় থেকে রামকৃষ্ণপুর ৩ কিলোমিটার সড়কে দীর্ঘ চার বছর ধরে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কটি সংস্কার না করায় যাতায়াতকারী যাত্রী ও যানবাহন চালকদের ভোগান্তি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। 

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, কালই মোড় থেকে রামকৃষ্ণপুর পর্যন্ত সাড়ে ৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সড়কের অসংখ্য স্থানে কার্পেটিং উঠে ইটের খোয়া ও পাথর বের হয়ে গেছে। সড়ক জুড়ে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় খানাখন্দ। এর মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও ভ্যান, ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করছে। 

স্থানীয়রা জানান, প্রায় চার বছর ধরে কালাই মোড় থেকে রামকৃষ্ণপুর পর্যন্ত রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কয়েক হাজার মানুষের চলাচলের প্রধান সড়ক এটি। সর্বশেষ কত বছর আগে সড়কটি সংস্কার করা হয় তা অনেকেরই মনে নেই। এরপর মেরামত না করায় সড়কের প্রায় সবস্থানেই ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে যানবাহন চলছে ধীরগতিতে।

এ সময় অটোরিকশাচালক সাহেব আলী বলেন, রাস্তায় অনেক খানাখন্দ থাকায় প্রতিদিনই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। এ রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে সুস্থ-সবল মানুষও অসুস্থ হয়ে যায়। অনেক সময় রিকশায় করে এই রাস্তা দিয়ে রোগী নিয়ে গেলে তাদের অবস্থা আরও কাহিল হয়ে পড়ে। সড়কের ঝাঁকুনিতে গর্ভবতী নারীদের এই সড়কে চলাচল করতে খুবই অসুবিধা হচ্ছে। 

স্কুল পড়ুয়া একাধিক শিক্ষার্থীরা জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে হলে এই একমাত্র সড়কটি ব্যবহার করতে হয়। এই সড়কটি ব্যবহার করতে গিয়ে ড্রেস নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। হাটা চলা করা যায় না। পানির নিচে থাকা গর্তে রিকশার চাকা পড়ে  উল্টে যাচ্ছে। তাই প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে এই সড়কে চলাচল করতে হচ্ছে আমাদেরকে। 

স্থানীয় আরেক বাসিন্দা শরিফ বলেন, প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়েই আমাদের যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু রাস্তার এই বেহাল দশায় খুবই ভোগান্তি হয়। 

রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেন বলেন, আমাদের রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের সব মানুষের যাতায়াতের একটা মাত্র রাস্তা এটি। এই রাস্তা দিয়ে অসংখ্য রিকশা, ভ্যান, ইঞ্জিন চালিত নানা ধরনের যানবাহন চলাচল করে। আমাদের চরাঞ্চলের যত মানুষ আছে তারা সবাই রামকৃষ্ণপুর ঘাটে নেমে এই রাস্তা দিয়েই ঝিটকা হাটে যায়। এ খানাখন্দ রাস্তায় যাতায়াত খুবই কষ্ট এবং যানবাহনগুলো খুব ঝুঁকির মধ্যেই যাতায়াত করে। জনস্বার্থে এই রাস্তাটি সংস্কার বিশেষ দরকার। 

হরিরামপুর উপজেলা প্রকৌশলী মাজহারুল হক আকন্দ জানান, এই অর্থবছরে রাস্তাটির সংস্কারের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে এবং অনুমোদন হয়েছে। খুব দ্রুতই রাস্তাটি সংস্কার করা হবে।

চন্দন/ইমন 


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়