ঢাকা     মঙ্গলবার   ০১ অক্টোবর ২০২৪ ||  আশ্বিন ১৬ ১৪৩১

ঘাস বিক্রি করে জীবিকা 

মৌলভীবাজার সংবাদদাতা  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:২৩, ১ অক্টোবর ২০২৪  
ঘাস বিক্রি করে জীবিকা 

মৌলভীবাজার রাজনগর উপজেলার টেংরাবাজারে ১২ বছর ধরে ঘাস বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন ইসমাইল, মুকিত, আহমদ, অর্তুজ ও মুসলিম মিয়ারা। ঘাস বিক্রি করে তারা মাসে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা আয় করেন। স্বল্প বিনিয়োগে বেশি লাভের জন্য তারা এ পেশা বেছে নিয়েছে। তা দিয়ে তাদের সংসার চলে। 

তারা প্রতিদিনই ঘাসের আঁটি সাজিয়ে নিয়ে বসে। ক্রেতাদের সুবিধার্থে ছোট আঁটি বেঁধে রাখা হয়।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, রাজনগর উপজেলায় প্রান্তিক খামারিসহ ১১৫০টি গবাদি পশুর খামার রয়েছে। সাম্প্রতিক বন্যায় উপজেলা জুড়ে গোখাদ্যের সংকট রয়েছে। এ সংকট নিরসনে ছোট-বড় গরুর খামারিরা এদের কাছ থেকে ঘাস কিনে নিয়ে যায়। 

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুপুরে বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ঘাস কেনাবেচার দৃশ্য। এ সময় ঘাস বিক্রেতা ইসমাইলের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘বছরে ৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করি। ইজারা জমিতে সারা বছর ঘাসের ফলন হয়। একবার রোপণ করলে তিন বার ঘাস কাটা যায়। পাহাড়ি এলাকা থেকে ঘাস সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করি। ঘাস বিক্রি করে আমাদের জীবিকা চলে।’

কথা হয় আরেক বিক্রেতা মুকিত মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘টেংরা বাজারের সেতুর কাছে ১২ বছর ধরে ঘাস বিক্রি করে আসছি। মাসে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা আয় করি। তা দিয়ে সংসার চলে। অল্প বিনিয়োগে বেশি লাভ হয়। বিভিন্ন এলাকার খামারিরা নিয়মিত ঘাস কিনে নিয়ে যায়।’

ঘাস বিক্রেতা মুসলিম মিয়া বলেন, ‘প্রতিদিন ১ হাজার ৫০০ আঁটি ঘাস ৮ টাকা থেকে ১০ টাকা দামে বিক্রি করি। দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন এসে ঘাস কিনে নিয়ে যায়।’ 

ঘাস কিনতে আসা একই উপজেলার দাসপাড়া গ্রামের রুমন মিয়া বলেন, ‘সাম্প্রতিক বন্যায় গোখাদ্যের সংকট রয়েছে। তাই প্রায় দিনই ঘাস কিনতে হয়। আজ ৫০০ টাকার ঘাস কিনেছি।’

আরেক ক্রেতা সঞ্জয় ভট্রাচার্য বলেন, ‘আমার শংকর জাতের ৩টি গরু রয়েছে। খাদ্য যোগান দিতে গিয়ে ১০০ আঁটি ঘাস কিনতে হলো।’ 

উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা নিবাস চন্দ্র পাল বলেন, ওই ঘাস ভালো মানের গোখাদ্য। এবারের বন্যার কারণে উপজেলায় গোখাদ্যর সংকট রয়েছে। আর এই সংকটে খামারিরা ঘাস কিনে থাকেন। খামারিদের ফলানো ঘাস বন্যায় ক্ষতি হয়েছে। 

রাজনগরে প্রান্তিক খামারিসহ ১১৫০টি গবাদি পশুর খামার রয়েছে বলে জানান নিবাস চন্দ্র পাল। 
 

আজিজ/বকুল


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়