ঢাকা     বুধবার   ০২ অক্টোবর ২০২৪ ||  আশ্বিন ১৭ ১৪৩১

সিরাজগঞ্জে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিবের বিরুদ্ধে মামলা

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৫২, ২ অক্টোবর ২০২৪  
সিরাজগঞ্জে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিবের বিরুদ্ধে মামলা

কবির বিন আনোয়ার

উন্নয়ন প্রকল্পের নামে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে দরিদ্র কৃষকদের জমির ফসল নষ্ট করার অভিযোগে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ারসহ ৭০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ২৫ থেকে ৩০ জনকে।

বুধবার (২ অক্টোবর) দুপুরে জেলার কামারখন্দ উপজেলার চর-নূরনগর গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে কামারখন্দ থানা আমলি আদালতে মামলাটি করেন। 

আদালতের বিচারক জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ওমর ফারুক রবি মামলাটি আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নাজমুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আরো পড়ুন:

মামলার অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে বাদীসহ অর্ধশতাধিক কৃষক উদয়কৃষ্ণপুর মৌজার প্রায় ৯৭ বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করেছিলেন। কবির বিন আনোয়ারের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ক্ষমতার দাপটে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশে উন্নয়ন প্রকল্পের নামে ওইসব জমির ফসল নষ্ট করে ফুলজোড় নদীর উত্তোলিত বালু রাখার ষড়যন্ত্র করেন। বিষয়টি বুঝতে পেরে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন ভুক্তভোগী এক কৃষক। 

হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ২০২২ সালের ১ জানুয়ারিতে ওই জমিতে মাটি ভরাট না করার জন্য আদেশ দেন। কিন্তু তারা (আসামিরা) উচ্চ আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে ১৪ জানুয়ারি পিস্তল, রিভলভার, রামদা, ধারালো ছুরি, চাইনিজ কুড়ালসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জমিতে ঢুকে চারটি ভেকু মেশিন দিয়ে পাকা সরিষা নষ্ট করে মাঝখানে বালু রাখার জন্য জায়গা রেখে চারদিকে মাটির বাঁধ নির্মাণ করেন। এতে প্রায় ২৩ লাখ ২৮ হাজার টাকার সরিষা নষ্ট হয়ে যায়। মাটি কেটে চারিদিকে বাঁধ নির্মাণের ফলে ক্ষতি হয় ৪৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা। সব মিলে ৭১ লাখ ৭৮ হাজার টাকার ক্ষতি করে। তাদের এসব কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করলে অস্ত্র দিয়ে হত্যার ভয় দেখানোসহ এ বিষয়ে মামলা না করার জন্য হুমকিও দেন। এসব কারণে মামলা করতে সাহস পাননি তারা।  

মামলার বাদী শহিদুল ইসলাম বলেন, সাবেক সচিব কবির বিন আনোয়ারের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আমাদের সরিষার খেত নষ্ট করেন সেখানে নদীর বালু রেখে ব্যবসা করার জন্য। আদালতের আদেশের কারণে তারা বালুর ব্যবসা করতে পারেনি। বালু রাখার কারণে আমাদের ফসলি জমিগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে কৃষকরা দীর্ঘদিন ধরে ওই জমিতে কোনো ধরনের ফসল আবাদ করতে পারছেন না।

অদিত্য/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়