ঢাকা     বুধবার   ০২ অক্টোবর ২০২৪ ||  আশ্বিন ১৭ ১৪৩১

বিভিন্ন দাবিতে কুসিক মাস্টার রোল কর্মচারীদের বিক্ষোভ 

কুমিল্লা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:১৩, ২ অক্টোবর ২০২৪  
বিভিন্ন দাবিতে কুসিক মাস্টার রোল কর্মচারীদের বিক্ষোভ 

বেতন বৃদ্ধি, চাকরি স্থায়ীকরণ ও মাতৃত্বকালীন ছুটিসহ বিভিন্ন দাবিতে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের (কুসিক) মাস্টার রোল (এমআর) কর্মচারীরা বিক্ষোভ করেছেন। দাবি আদায়ের জন্য তারা সিটি করপোরেশনের প্রধান র্নিবাহী (যুগ্ম সচিব) মো. ছামছুল আলমকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। এক পর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা প্রধান নির্বাহীর কক্ষে ও নগর ভবনের প্রবেশ ও বের হওয়ার গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন।

বুধবার (২ অক্টোবর) দুপুর থেকে কর্মচারীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। বিকেল ৪টা পর্যন্ত তারা বিক্ষোভ করেন। এসময় সিটি করপোরেশনের প্রশাসক সাইফ উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন না।

এদিকে, আন্দোলনকারীরা সিটি করপোরেশনের অফিস সহকারী মাহাবুবুর রহমানকে লাঞ্ছিত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রধান নির্বাহীর কক্ষে আন্দোলনকারীদের প্রবেশ বাঁধা দেওয়ায় তাকে লাঞ্ছিত করা হয় বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।

আরো পড়ুন:

আন্দোলনরত কর্মীরা জানান, দৈনিক ৩৫০ টাকা হাজিরা ভিত্তিতে তারা দীর্ঘদিন কাজ করে যাচ্ছেন। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির বাজারে এই টাকা দিয়ে কিছুই করতে পারেন না তারা। তাছাড়া মাসের অনেক দিন তাদের কাজ থাকে না, সেক্ষেত্রে মাসিক বেতন আরো কম হয়। অনেকে ছয় হাজার টাকা বেতন পান। এ টাকায় তাদের সংসার চলছে না।

পরিচ্ছন্নতাকর্মী মান্নান মিয়া জানান, তিনি কুমিল্লা নগরীর চার নম্বর ওয়ার্ড কাপ্তান বাজার এলাকায় কাজ করেন। সকাল ৬টা থেকে ১০টা পর্যন্ত চার ঘণ্টা ডিউটি করেন। পুরো মাস কাজ করে তিনি ৬ হাজার ৩০০ টাকা বেতন পান।

সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়িচালক মো. হানিফ মিয়া বলেন, ‘কোন বোনাস নেই। দৈনিক ৩৫০ টাকা মজুরিতে ১০ হাজার ৫০০ টাকা হারে বেতন পাই। যেদিন কাজ নেই, সেদিনের বেতন নেই। কোনো ছুটি নেই। দীর্ঘদিন কাজ করছি, কিন্তু চাকরি স্থায়ী হচ্ছে না।’

ঝাড়ুদার ফাতেমা বেগম জানান, তিনিও সাড়ে ছয় হাজার টাকা বেতন পান, এ টাকায় তার সংসার চলে না।

কর্মচারীরা জানান, তিন বছর আগে মাস্টার রোল কর্মচারীদের বেতন দৈনিক ৩০০ টাকা হাজিরাভিত্তিক ছিল। সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু শেষ কর্মদিবসে দাবির প্রেক্ষিতে তাদের বেতন ৫০ টাকা বাড়িয়ে যান। এরপর বিভিন্ন সময়ে কর্মচারীরা বেতনসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর জন্য আন্দোলন করে যাচ্ছেন। বর্তমান প্রধান নির্বাহী যোগদান করার পর তারা অসংখ্যবার দাবি আদায়ের জন্য আবেদন করেছেন। প্রধান নির্বাহী তাদের আশ্বাস দিলেও কোনো দাবি পূরণ করতে পারেননি।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী (যুগ্ম-সচিব) মো. ছামছুল আলম জানান, কর্মচারীদের দাবি অনুযায়ী আমরা কাজ করছি। বেতন বৃদ্ধি নিয়ে ইতোমধ্যে প্রশাসক মহোদয়ের সঙ্গে আলোচনাও হয়েছে।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রশাসক সাইফ উদ্দিন আহমেদ বলেন, এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে পারবো না।

রুবেল/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়