ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ০৩ অক্টোবর ২০২৪ ||  আশ্বিন ১৮ ১৪৩১

শিকদার বাড়িতে এবার জমকালো আয়োজনে পূজা হচ্ছে না 

বাগেরহাট প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৪১, ৩ অক্টোবর ২০২৪  
শিকদার বাড়িতে এবার জমকালো আয়োজনে পূজা হচ্ছে না 

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এ পূজা উপলক্ষে বাগেরহাটের সদর উপজেলার হাকিমপুর গ্রামে প্রতি বছর সবচেয়ে বড় দুর্গোৎসবের আয়োজন করা হয়। তবে এ বছর পূজার সময় ঘনিয়ে এলেও হাকিমপুরের শিকদার বাড়ি পূজামণ্ডপে আয়োজন চোখে পড়েনি।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ৪টায় হাকিমপুর গ্রামের আলোচিত শিকদার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, শুনশান নীরবতা। বাড়ির সামনের মন্দিরের গেট তালাবদ্ধ। আশপাশের সব কিছুই যেন স্তব্ধ। উপমহাদেশের সবচেয়ে বেশি প্রতিমায় দূর্গাপূজার আয়োজন করা এ মন্দিরে কেন এ বছর পূজা হচ্ছে না, তা জানার জন্য লিটন শিকদারের বাড়িতে গেলে বাড়ির সদস্যরা কথা বলতে রাজি হননি।

ফিরে আসার সময় রাস্তায় মন্দিরের সামনে দেখা মিলল আয়োজক লিটন শিকদারের আত্মীয় গৌরব শিকদারের সঙ্গে। এবারের পূজা উদযাপনের বিষয়ে তার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, দেশ ও দেশের বাইরে আলোচনায় ছিল সিকদার বাড়ির সবচাইতে বড় এই মণ্ডপটি। প্রতিবছরই পূজার আগে প্রায় ছয় মাস ধরে চলে দেবদেবীর প্রতিমা তৈরির কাজ। এবারের পূজার জন্যও শিকদার বাড়িতে বেশ কয়েকজন কারিগর প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু করেন। কিছু প্রতিমা তৈরিও করা হয়। কিন্তু প্রধান ভাস্কর অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় প্রথমে কাজ স্থগিত করা হয়। এরপর তাকে চিকিৎসার জন্য ভারতে পাঠানো হয়। সেই থেকে মন্দিরটি তালাবদ্ধ রয়েছে। এবার আর আগের মতো সেই আয়োজন থাকছে না। ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিকভাবে পূজার ছোটখাটো আয়োজন করা হবে।

আরো পড়ুন:

শিকদার বাড়ি দুর্গোৎসবের আয়োজক লিটন শিকদার মুঠোফোনে বলেন, ‘ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে অনেকের প্রাণহানি ঘটেছে। একদিকে শোক চলছে, অন্যদিকে আনন্দ হবে আমি এটা মেনে নিতে পারিনি। এজন্যই এবার পূজার আয়োজন রাখা হয়নি। তবে পারিভারিকভাবে ছোট পরিসরে পূজা করা হবে।’

শিকদার বাড়ি দুর্গা মন্দিরে সর্বপ্রথম ২০১১ সালে ২৫১টি প্রতিমা নিয়ে দুর্গাপূজার জমকালো আয়োজন শুরু হয়। সেই থেকে প্রতিবছর ধুমধামে পূজা হয়ে আসছে। ২০১৯ সালে ৮০১টি প্রতিমা নিয়ে এ বাড়িতে পূজা হয়। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালে শিকদার বাড়িতে সীমিত পরিসরে পূজা উদযাপিত হয়েছে। সর্বশেষ ২০২৩ সালে ৫০১টি প্রতিমা তৈরি করে দুর্গোৎসব করা হয়। এ মন্দিরে প্রতিবছর দুর্গোৎসবে দেশ-বিদেশের অসংখ্য দর্শনার্থীর সমাগম হয়েছে। 

শহিদুল/বকুল 

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়