ঢাকা     শনিবার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ৭ ১৪৩১

বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে ভূঞাপুর পৌরশহর

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:০৬, ৪ অক্টোবর ২০২৪   আপডেট: ১৫:১৪, ৪ অক্টোবর ২০২৪
বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে ভূঞাপুর পৌরশহর

পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায়  টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের পৌরসভার অধিকাংশ বাসাবাড়িতে প্রবেশ করেছে বৃষ্টির পানি। এতে তলিয়ে গেছে প্রধান প্রধান সড়কসহ অধিকাংশ পাড়া-মহল্লার রাস্তাঘাট। 

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) ভূঞাপুর পৌরসভা ঘুরে এমনই চিত্র দেখ গেছে। বৃহস্পতিবার মধ্য রাত থেকে লাগাতার বৃষ্টি ঝরছে এখানে। ফলে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় এ ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন পৌরবাসী। হঠাৎ করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়িতে বৃষ্টির পানি প্রবেশ করায় মালামাল ও আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে ক্ষতির মুখে পড়েছেন অনেকেই। এদিকে পানি নিষ্কাশনের জন্য পৌর কতৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপই নেয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। আর এতে ভোগান্তির মাত্রা চরম আকার ধারণ করেছে বলে জানান তারা। 

স্থানীয়রা জানান, ৯ টি ওয়ার্ডের মধ্যে সবথেকে বেশি ভোগান্তি মধ্যে পড়েছে পৌরসভার প্রধান শহর ৪ ও ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। বসতবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পানি প্রবেশ করে এদের অবস্থা করুণ। আকস্মিক পানি প্রবেশ করায় অনেক মালামাল সরাতে পারেননি। এতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালামাল ও বহু বাসাবাড়ির আসবাবপত্র নষ্ট হয়েছে।

ঘটান্দী গ্রামের বাসিন্দা গিয়াস উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, একে তো পৌর কর্তৃপক্ষের নিম্নমানের ড্রেনেজ ব্যবস্থা তারমধ্যে পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা ছাড়াই অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে জলাবদ্ধতার জন্যই এই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। আমার ফ্রিজ ও অনেক আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে গেছে।

ফসলআন্দী গ্রামের বাবুল মিয়া বলেন, ভূঞাপুর শহরের প্রধান জলাধারের যে খালটি ছিল, তা পৌরসভা কতৃপক্ষ ময়লা ফেলে ভরাট করেছে। এছাড়া নানা প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি অবৈধভাবে দখল করে পুরো খালটি ভরাট করায় পানি নিষ্কাশনের কোনো পথই আর নেই। এভাবে শহরের প্রতিটি খালই দখল ও ভরাট হলেও তা উদ্ধারে কোন পদক্ষেপ নেয়নি কর্তৃপক্ষ।তাদের এই গাফিলতিতেই বাসার নীচতলা ডুবে গেছে। অনেক কিছু পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে।

ভূঞাপুর বাজারের ব্যবসায়ী কামাল হোসেন বলেন, শহর থেকে পানি বের হওয়ার কোনো জায়গা নেই। তাই স্কুল ও কলেজ মাঠ ভর্তি হয়ে সেই পানি দোকানে ঢুকে মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে। এভাবেই মাঝে মাঝেই হয় কিন্তু দেখার কেউ নাই।

ঘাটান্দী উত্তরপাড়ার বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বলেন, ৪ ও ৯ নং ওয়ার্ডের আমরা পৌরসভায় সব থেকে বেশি কর দিলেও সারা বছরই রাস্তাঘাট তলিয়ে থাকে আর বৃষ্টি হলে ঘরে পানি ঢুকে যায়। এই হলো উন্নয়ন। আমরা এর প্রতিকার চাই

এসব বিষয়ে ভূঞাপুর পৌরসভার প্রকৌশলীর সুকমল রায় এর সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। 

কাওছার/টিপু


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়