সবুজ চা বাগানে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে লাল শাপলা
আব্দুল আজিজ, মৌলভীবাজার || রাইজিংবিডি.কম
মাথিউরা চা বাগানের লেকে ফুটে থাকা লাল শাপলা
বাংলার খাল-বিল, পুকুর-জলাশয়ে ফোটে শাপলা ফুল। সিলেটের বিভিন্ন হাওরেও দেখা মেলে ফুলটির। সাদার পাশাপশি শরতের এই সময়ে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় লাল শাপলা। মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার মাথিউরা চা বাগানের স্বচ্ছ জলের লেকে ফুটেছে অজস্র লাল শাপলা। যা চা বাগানের সবুজ টিলার সৌন্দর্যের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে অনেক গুণ।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) মাথিউরা চা বাগানে গিয়ে দেখা যায়, লেকের পানিতে ফুটেছে ছোট-বড় অসংখ্য শাপলা। পাহাড়ি লেকের নিরিবিলি পরিবেশে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে প্রকৃতির এই অপূর্ব সৃষ্টি।
স্থানীয়রা জানান, শাপলার সৌন্দর্য সবাইকে মুগ্ধ করে। এই লেক ও চা বাগান এলাকার সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। আশপাশের এলাকার বাসিন্দরা অনেকেই এখানে ঘুরতে আসেন, শাপলা দেখতে আসেন। জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত এই লেকে শাপলা ফুল সবচেয়ে বেশি দেখতে পাওয়া যায়। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় পর্যটকদের আসা-যাওয়া তেমন নেই।
বেড়াতে আসা আবু বকর বলেন, ‘শাপলা ফুলের অপরূপ শোভা সৌন্দর্যপিপাসু মানুষকে বিমোহিত করে। এমন সৌন্দর্য মনকে উৎফুল্ল করে তোলে।’
মৌলভীবাজার থেকে গতকাল বিকেলে ঘুরতে আসা হাসান আহমদ বলেন, ‘উঁচু-নিচু চা বাগানের টিলা এবং লেকের মনকাড়া সৌন্দর্য আমাকে মুগ্ধ করেছে। এই লেকটিকে আরো উপযোগী করা যেতে পারে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করলে পর্যটন জেলা মৌলভীবাজারে আরো একটি পর্যটক স্পট যোগ হবে।’
মাথিউরা চা বাগানের বাসিন্দা নারায়ণ রাজভর বলেন, ‘উঁচু-নিচু টিলাভূমিতে যাতায়াত সহজ না হওয়ায় এখানে ভ্রমণপিপাসুরা কম আসেন। এই লেক সৌন্দর্যের দিক থেকে সবাইকে মুগ্ধ করবে।’
চা-বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক এ কিউ চৌধুরী বলেন, ‘এটি একটি চা কোম্পানির প্রাইভেট প্রোপার্টি। বিভিন্ন বিধি নিষেধের কারণে এটি আমরা পর্যটকদের জন্যে উন্মুক্ত করতে পারবো না। ভ্রমণ পিপাসুরা এখানে বেড়াতে আসলে আমরা তাদের বাধা দিতে পারি না।’
মাসুদ