কক্সবাজার সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের দুই কর্মকর্তাকে অব্যাহতি

অনিয়ম ও জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগের সত্যতা পাওয়ায় কক্সবাজারের রামুতে অবস্থিত বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণাকেন্দ্রের (বুরি) দুই নারী কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন- চিকিৎসা কর্মকর্তা (শিক্ষানবিশ) ডা. ফাতেমা রহমান ও সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (শিক্ষানবিশ) সীমা রানী।

গতকাল বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বুরির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. তৌহিদা রশীদ স্বাক্ষরিত পৃথক আদেশে তাদের চাকরির অবসানের কথা জানানো হয়েছে। 

ডা. ফাতেমা রহমানকে অব্যাহতি দেওয়া প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২০২২ সালের ২৯ আগস্ট বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটে যোগদানের পর শিক্ষানবিশ হিসেবে চাকরির মেয়াদকালে তার আচরণ ও কর্ম সন্তোষজনক নয়। এ বিষয়ে তাকে বিভিন্ন সময়ে সতর্ক ও কারণ দশার্নোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

তার কার্যক্রমের রেকর্ড অনুযায়ী কর্মদক্ষ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এছাড়া, সম্প্রতি বুরির নিরীক্ষা দল মেডিক্যাল অফিসারের নথিতে আবেদন না করা সত্ত্বেও তাকে জাল- জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। এসব কারণে সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের কর্মচারী চাকরি প্রবিধানমালা ও নিয়োগপত্রের শর্তাবলী অনুযায়ী ফাতেমা রহমানের চাকরি অবসান করা হয় বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।

একই দিন, বুরির মহাপরিচালকের স্বাক্ষরিত অপর এক প্রজ্ঞাপনে সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (শিক্ষানবিশ) সীমা রানীর চাকরি অবসান করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের বায়োলজিক্যাল ওশানোগ্রাফি বিভাগে সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নিয়োগে চাওয়া শিক্ষাগত যোগ্যতা তার নেই। চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে এই পদে ডক্টরেট ডিগ্রি, স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি চাওয়া হয়েছে। তিনি চাকরির আবেদনে ডক্টরেট ডিগ্রিতে অধ্যয়ন আছেন উল্লেখ করলেও অদ্যাবদি সনদ জমা দেননি। 

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির শর্তানুযায়ী তার কোনো স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি নেই। তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনে ডিগ্রি (পাস) কোর্স সম্পন্ন করেছেন। সেই প্রেক্ষিতে নিয়োগের বাছাই কমিটি তার আবেদন বাতিল করে। তারপরও অনিয়মের মাধ্যমে তিনি এ পদে নিয়োগ পেয়েছেন বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।