ঢাকা     শনিবার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ৭ ১৪৩১

চাঁদপুরে মেঘনার পাড়ে পাওয়া যুবকের লাশের পরিচয় মিলেছে 

চাঁদপুর প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৩২, ৫ অক্টোবর ২০২৪  
চাঁদপুরে মেঘনার পাড়ে পাওয়া যুবকের লাশের পরিচয় মিলেছে 

চাঁদপুরের মেঘনার পার থেকে উদ্ধারকৃত জিন্স প্যান্ট ও গেঞ্জি পরিহিত যুবকের লাশের পরিচয় পেয়েছে নৌ থানা পুলিশ। এরপরই ঘটনায় জড়িতদের সন্ধানে নেমেছে নৌ পুলিশ।

শনিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে এমন তথ্য জানিয়েছে নৌ থানার ওসি মো. তাহের।

তিনি জানান, অজ্ঞাত ওই মরদেহ পাওয়া যুবকের নাম চিন্ময় চক্রবর্তী। বয়স ৩১। তিনি হচ্ছেন চাঁদপুর পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের গুয়াখোলা সড়কের ফজল দর্জির ভবনের ২য় তলার ভাড়াটিয়া মিলন চক্রবর্তী ও পূর্ণিমা চক্রবর্তী দম্পতির মেঝো ছেলে। চিন্ময়রা ৩ ভাই। তার বড় ভাই হচ্ছেন তন্ময় চক্রবর্তী ও ছোট ভাই হচ্ছেন রাজ চক্রবর্তী।

ওসি তাহের আরও জানান, চিন্ময় চক্রবর্তীর পরিবার থেকে জানায়, গত ২৮ সেপ্টেম্বর ৩টা ৪০ মিনিটের লঞ্চে ঢাকায় যাবার কথা বলে চিন্ময় বাসা থেকে বের হয়। তারা লাশ পায় ৩০ সেপ্টেম্বর। লাশের পড়নে ছিলো জিন্স প্যান্ট ও গেঞ্জি। পোশাক দেখে তার পরিবার লাশের পরিচয় শনাক্ত করে। ততক্ষণে ওই মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে আন্জুমানের মাধ্যমে দাফন হয়ে যায়। তবে পরিচয় জানার পর এখন সে মরদেহ উত্তোলন করে তাদের ধর্ম অনুযায়ী সৎকার করতে তার পরিবারকে আইনি সহায়তা করা হচ্ছে।

শোকে কাতর চিন্ময় চক্রবর্তীর বাবা মিলন চক্রবর্তী এবং মা পূর্ণিমা চক্রবর্তী বলেন, চিন্ময় অনেকটা ঘর ছাড়া থাকতো। প্রায়ই সে এদিক সেদিক চলে গিয়ে পরে ফোনে জানাতো সে কোথায় আছে। তাই আমরাও তেমন খবর নিতাম না। সে গার্মেন্টসে চাকরির জন্য লঞ্চযোগে ঢাকায় রওনা হওয়ার প্রায় সপ্তাহখানেক পর আমরা তার মৃত্যুর খবর পেলাম। চিন্ময় কিভাবে মারা গেলো? নাকি কে বা কারা মেরে ফেলেছে তা জানিনা। তাই সবার কাছে ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করছি।

স্থানীয়রা জানান, চিন্ময় গাঁজাসেবী ছিলো। নেশা নিয়ে প্রায়ই তার মাসহ পরিবারের লোকজন তাকে বকাঝকা করতো। তবে সে পাড়া প্রতিবেশীদের সাথে কখনো খারাপ আচরণ করেনি। 

এ বিষয়ে চাঁদপুর নৌ থানার এস আই আরজ আলী বলেন, আমরা চিন্ময় চক্রবর্তীর মরদেহটা গত ৩০ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরে চাঁদপুর সদরের তরপুর চন্ডী ইউপির ৬নং ওয়ার্ডের মিজান ছৈয়ালের বাড়ির পিছনে মেঘনা নদীর পাড় হতে অজ্ঞাতনামা হিসেবে পেয়েছি। পরে তা উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠালে সেখানেপ্রক্রিয়া শেষে আন্জুমানের মাধ্যমে অজ্ঞাত হিসেবেই লাশ দাফন করা হয়। একটা ইউডি মামলা হয়েছে। তবে তাকে কে বা কারা মেরে ফেলেছে বা কিভাবে মৃত্যু হয়েছে তা এখনো বলা যাচ্ছেনা। তার পরিবার চাইলে ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে থানায় বা আদালতে কারো বিষয়ে অভিযোগ থাকলে মামলা করতে পারবেন।

এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি বাহার মিয়া বলেন, এখন পর্যন্ত চিন্ময় চক্রবর্তীর মরদেহ পাওয়ার পর থানায় তার পরিবার থানায় কোন অভিযোগ দেয়নি।

জয়/টিপু


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়