ঢাকা     রোববার   ০৬ অক্টোবর ২০২৪ ||  আশ্বিন ২১ ১৪৩১

মুন্সীগঞ্জে ৩৩৮টি মণ্ডপে চলছে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৪৩, ৫ অক্টোবর ২০২৪   আপডেট: ২৩:০০, ৫ অক্টোবর ২০২৪
মুন্সীগঞ্জে ৩৩৮টি মণ্ডপে চলছে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি

মুন্সীগঞ্জে প্রতিমা তৈরি ও সাজাতে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা। ইতোমধ্যে খড় ও মাটি দিয়ে তারা শেষ করেছেন প্রতিমা তৈরি। এখন শেষ মুহূর্তে রংতুলির আঁচড়ে প্রতিমা ফুটিয়ে তুলছেন তারা। এবছর জেলার ৩৩৮টি মণ্ডপে দুর্গোৎসব আয়োজন করা হচ্ছে।

ধর্মীয় পঞ্জিকা মতে, গত ২ অক্টোবর মহালয়ার মধ্য দিয়ে দেবী পক্ষের সূচনা হয়। আগামী ১২ অক্টোবর মহাদশমীর বিহিত পূজা অনুষ্ঠিত হবে। সেদিন সন্ধ্যায় বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শারদীয়া দুর্গোৎসবের সমাপ্তি ঘটবে। এবার পৃথিবীতে দশভুজার আগমন হবে দোলায় চড়ে। তিনি কৈলাশে ফিরবেন ঘোটকে (ঘোড়া) চড়ে।

শনিবার (৫ অক্টোবর) সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন মণ্ডপ ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিমা শিল্পীরা দেবী দুর্গাসহ অনান্য প্রতিমাগুলোতে রঙের কাজ করছেন। যেসব প্রতিমায় রঙের কাজ শেষ হয়েছে সেসব প্রতিমায় শাড়িসহ বিভিন্ন ধরনের অলঙ্কার পড়াচ্ছেন শিল্পীরা। পাশাপাশি উৎসবকে আরো জাঁকজমক করতে আয়োজকরা মণ্ডপগুলোকে নিজেদের মতো করে সাজিয়ে তুলছেন। লাইটিংয়ের ব্যবস্থাও করছেন আয়োজকরা।

আরো পড়ুন:

সদর উপজেলার রুহিতপুর গ্রামের পূজা মণ্ডপের সাধারণ সম্পাদক শ্রী গণেশ মন্ডল বলেন, ‘আমাদের মণ্ডপের প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। এখন ডেকোরেটরের কাজ ও লাইটিংয়ের কাজ বাকি আছে। পূজার আগেই সব কাজ শেষ হবে।’ 

একই মণ্ডপের দপ্তর সম্পাদক অজয় পাল বলেন, ‘সরকার পরিবর্তনের পর থেকে আমরা নিয়মিত দিনে ও রাতে মণ্ডপ পাহারা দিচ্ছি। আশা করছি, আমরা ভালোভাবেই পূজা করতে পারবো।’

মুন্সীগঞ্জ জেলা হিন্দু-খ্রিষ্টান-বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট অজয় কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘এ বছর জেলায় ৩৩৮টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা হবে। এই উৎসবকে সামনে রেখে এরই মধ্যে জেলা প্রশাসন প্রস্তুতিমূলক সভা করেছে। এখন পর্যন্ত জেলায় দুর্গা পূজার মণ্ডপগুলোতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। মণ্ডপের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ হিন্দু-খ্রিষ্টান-বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদ ও জেলা পূজা উৎযাপন পরিষদ ব্যপক প্রস্তুতি নিয়েছে।’ 

মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত বলেন, ‘গতকাল শুক্রবার সিরাজদিখান উপজেলার বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ আমি পরিদর্শন করেছি। এখন পর্যন্ত জেলার কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পুজা মণ্ডপ গুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা থাকবেন।

রতন/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়