ঢাকা     শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ৯ ১৪৩১

ফরিদপুরে ছাত্রীদের বিক্ষোভের মুখে অধ্যক্ষ ছুটিতে 

ফরিদপুর প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:২১, ৬ অক্টোবর ২০২৪  
ফরিদপুরে ছাত্রীদের বিক্ষোভের মুখে অধ্যক্ষ ছুটিতে 

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে নারী শিক্ষার অন্যতম প্রতিষ্ঠান কাজী সিরাজুল ইসলাম মহিলা কলেজের অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে রোববার (৬ অক্টোবর) দিনভর বিক্ষোভ করেছে কলেজের ছাত্রীরা। শেষ পর্যন্ত অনিয়ম, দুর্নীতি তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয় এবং অধ্যক্ষ মো. ফরিদ আহমেদকে ৭ দিনের ছুটিতে পাঠান প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার নাসিরুল ইসলাম।

পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত কাজী সিরাজুল ইসলাম মহিলা কলেজে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ২টা পর্যন্ত বিক্ষোভ-সমাবেশ হয়। এ সময় ছাত্রীদের সঙ্গে ছাত্রদেরও দেখা যায়। পরে ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি কলেজে পৌঁছলে ছাত্রীদের বিক্ষোভ আরও জোরদার হয়। তখন সভাপতি শিক্ষক মিলনায়তনে অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের নিয়ে সভায় বসেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা সভাপতির কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। পরে অধ্যক্ষকে বাসায় পাঠিয়ে কমিটি ও শিক্ষকেরা মিটিং করে অধ্যক্ষকে ৭ দিনের ছুটি এবং তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়।

এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হোসেন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

তদন্ত কমিটি আগামী ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিবে। এ প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন, সহযোগী অধ্যাপক রবীন কুমার লস্কর, সহযোগী অধ্যাপক মিনু রানী সাহা ও সহযোগী অধ্যাপক শিরিন হোসেন।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, অধ্যক্ষ ফরিদ আহমেদ কলেজের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে শিক্ষার পরিবেশ অবনতি হয়েছে। তিনি শিক্ষকদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি করে আসছেন। ছাত্রীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে থাকেন।

এ বিষয়ে অধ্যক্ষ মো. ফরিদ আহমেদ বলেন, ‘আমি কোনো অন্যায়, অনিয়ম, দুর্নীতি করিনি। সুযোগও নেই। কারণ কলেজের সকল কাজ করার জন্য বিভিন্ন কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। ম্যানেজিং কমিটি সকল কাজ করে থাকে এবং সকল লেনদেন ব্যাংকের মাধ্যমে হয়ে থাকে। কিন্তু ছাত্রীরা বার বার আমার পদত্যাগের দাবিতে মিছিল করে আসছে। বর্তমান সভাপতি কলেজে এসেছিলেন। তিনি ৭ দিনের ছুটি দিয়েছেন।’

কাজী সিরাজুল ইসলাম মহিলা কলেজের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি, কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ-সভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ উঠলেই তো কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা যায় না। শাস্তিও দেওয়া যায় না। এ জন্য অধ্যক্ষ ফরিদ আহমেদকে ৭ দিনের ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সকল অভিযোগ আছে, যাচাই-বাছাইয়ের জন্য একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে তাঁরা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

২৯ আগস্ট প্রথম ছাত্রীরা অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে। সেই সময়ের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর হাসান চৌধুরী অধ্যক্ষকে ছুটিতে পাঠিয়েছিলেন।  

তামিম/বকুল 


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়