ঢাকা     শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ৭ ১৪৩১

টেকনাফে অপহৃত কিশোর ৩ দিন পর উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২

কক্সবাজার প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৪০, ৭ অক্টোবর ২০২৪  
টেকনাফে অপহৃত কিশোর ৩ দিন পর উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২

অপহরণের অভিযোগে গ্রেপ্তার দুই যুবক

কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে অপহৃত এক কিশোরকে তিন দিন পর উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

সোমবার (৭ অক্টোবর) সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ লম্বরি এলাকা থেকে কিশোরকে উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের কচ্ছপিয়া করাচি পাড়ার হাসান আলীর ছেলে পারভেজ মোশারফ (১৯) এবং টেকনাফ সদর ইউনিয়নের উত্তর লম্বরী পাড়ার মনির আহমেদের ছেলে নুরুল আফসার (১৯)।

আরো পড়ুন:

উদ্ধার হওয়া কিশোরের নাম মোহাম্মদ হামিম (১৫)। সে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নুরুল আমিনের ছেলে।

অপহরণের ঘটনায় দায়ের করা মামলার নথির বরাতে ওসি গিয়াস উদ্দিন বলেন, গত শুক্রবার (৪ অক্টোবর) জুমার নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার সময় পূর্ব পরিচিত জনৈক যুবক মোহাম্মদ সেলিমের সঙ্গে তার দেখা হয় হামিমের। পরে তাকে (হামিম) ফুসলিয়ে সেলিম টেকনাফ উপজেলার শাহপরীর দ্বীপ এলাকায় বেড়ানোর কথা বলে নিয়ে যায়। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হলেও হামিম বাড়ি না ফেরায় স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে তাকে খুঁজতে শুরু করেন।

শনিবার (৫ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে নাম না জানা এক ব্যক্তি মোবাইল ফোনে কল দিয়ে হামিমের মাকে জানায়, তার ছেলেকে জিন্মি করে রাখা হয়েছে। তাকে ছেড়ে দিতে ৭০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে। টাকা না দিলে হামিমকে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়। 

অপহৃতের মা বিষয়টি টেকনাফ থানায় এসে অবহিত করেন। এ ঘটনায় গতকাল রোববার দুপুরে ভুক্তভোগীর মা সাবেরা বেগম বাদী হয়ে মোহাম্মদ সেলিমকে প্রধান আসামি করে ৮ জনের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় মামলা করেন। 

তিনি বলেন, ঘটনাটি পুলিশ অবহিত হওয়ার পর অপহৃতকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করে। এক পর্যায়ে প্রযুক্তির সহায়তায় দুর্বৃত্তদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। আজ সকালে পুলিশের একটি দল টেকনাফ সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ লম্বরি এলাকায় জনৈক মোহাম্মদ সেলিমের বসতিতে অভিযান চালিয়ে ঘিরে ফেলে। এসময় ৪/৫ জন লোক দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে। পরে ধাওয়া দিয়ে দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। 

তারেকুর/মাসুদ


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়