ঢাকা     শনিবার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ৭ ১৪৩১

নারায়ণগঞ্জে ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসব শুরু

নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৩৯, ৯ অক্টোবর ২০২৪  
নারায়ণগঞ্জে ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসব শুরু

চণ্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে নারায়ণগঞ্জে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হয়েছে। বুধবার (৯ অক্টোবর) ভোর ৬টার দিকে যষ্ঠীপূজা ও রাতে অধিবাসের মধ্য দিয়ে উৎসবের প্রথম দিন অনুষ্ঠিত হয়। দর্শনার্থীরা ইতোমধ্যেই ঠাকুর দেখতে মণ্ডপে মণ্ডপে যেতে শুরু করেছেন। 

ধর্মীয় পঞ্জিকা মতে, ৯ অক্টোবর মহাষষ্ঠী, ১০ অক্টোবর মহাসপ্তমী, ১১ অক্টোবর মহাষ্টমী ও ১২ অক্টোবর মহানবমী। এরপর ১৩ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে সমাপ্তি ঘটবে শারদীয় দুর্গোৎসবের। এর আগে, ২ অক্টোবর শুভ মহালয়ার মধ্য দিয়ে দেবীপক্ষের সূচনা হয়। এরপর বোধনের মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে জাগ্রত করা হয়।

ঠাকুর দেখতে আসা লিটন বিশ্বাস বলেন, ‘মায়ের আগমনে এবার আমরা খুব আনন্দিত। সকাল থেকে বিভিন্ন মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরেছি। ভালো লেগেছে। সবগুলো প্রতিমাই সুন্দর করে গড়া হয়েছে। তবে কিছু মণ্ডপ সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। তার মধ্যে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের পঞ্চমীঘাট এলাকায় সি আইপি অমল পোদ্দারের বাড়ির পূজা মণ্ডপ খুবই সুন্দর ছিলো।’

আরো পড়ুন:

কাকুলী রানী নামে এক নারী বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা থাকবে ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে আমারা যাতে দুর্গোৎসবটা ভালোভাবে পালন করতে পারি। আমরা চাই দেশে শান্তি বিরাজ করুক।’

দুর্গাপূজার আয়োজন নিয়ে দেওভোগ আখড়ার পুরোহিত অভিজিৎ চক্রবর্তী বলেন, ‘গতকাল বোধন গিয়েছে। মানে মাকে জাগ্রত করা। এটাকে অকাল বোধনও বলা হয়। আজকে সূর্য উদয়ের পর সকাল ৮ পর্যন্ত ছিলো ষষ্ঠী পূজার তিথী। এর মধ্যে দিয়ে মাকে যথাস্থানে বসিয়ে আনুষ্ঠানিকতা শুরু করলাম। রাতে আজকে দুর্গা মাকে অধিবাস করানো হবে।’

নরায়ণগঞ্জ জেলায় এবার ২১৪টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপন হবে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার শিপন। তিনি বলেন, ‘এবার ২১৪টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা হচ্ছে। ৯ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে পূজার আনুষ্ঠিানিকতা শুরু হয়েছে। আগামী ১৩ অক্টোবর দশমীর মধ্য দিয়ে উৎসব শেষ হবে।’ 

অপ্রীতিকর কোনো ঘটনার শঙ্কা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দুর্গাপূজা ঘিরে বিএনপি, হেফাজতে ইসলাম ও জামায়াতে ইসলামীসহ রাজনৈতিক দলগুলো আমাদের সহযোগিতা করছে। তাদের স্বেচ্ছাসেবক প্রত্যেকটি মণ্ডপে থাকবেন। এছাড়া, পুলিশ, র‌্যাব, আনসার ও সেনাবাহিনীসহ গোয়েন্দা শাখার নজরদারি থাকছে। ফলে অপ্রীতিকর ঘটনার শঙ্কা নেই।’

নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের পূজা মণ্ডপগুলোর নিরাপত্তার জন্য সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুরো জেলায় সার্বিক পরিস্থিতি খুব ভালো। পুলিশ, র‌্যাব, সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন ফোর্স দায়িত্ব পালন করছে। সেচ্ছাসেবকরাও কাজ করছেন। এখন পর্যন্ত অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা উৎযাপিত হচ্ছে।

অনিক/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়