ঢাকা     শনিবার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ৬ ১৪৩১

নিষেধাজ্ঞাকে সামনে রেখে খুলনায় ইলিশ বিক্রির ধুম

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৫৯, ১২ অক্টোবর ২০২৪   আপডেট: ২৩:০২, ১২ অক্টোবর ২০২৪
নিষেধাজ্ঞাকে সামনে রেখে খুলনায় ইলিশ বিক্রির ধুম

ছবি: সংগৃহীত

আহরণ নিষিদ্ধের শেষ মুহূর্তে খুলনায় ইলিশের জমজমাট বেচাবিক্রি চলছে। শনিবার (১২ অক্টোবর) রাতে সন্ধ্যা বাজারসহ নগরীর বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। তবে দাম বেশি হওয়ায় তাদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে।

শনিবার (১২ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত মা ইলিশ সংরক্ষণে ইলিশ আহরণ, পরিবহণ, বাজারজাতকরণ ও মজুদে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সরকার। 

নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ভোজন বিলাসী মানুষ শেষ মুহূর্তে ইলিশের স্বাদ নিতে খুলনার বাজারগুলোতে মাছ কিনতে ভিড় করছেন। যাদের সামর্থ আছে, তারা কিনছেন আবার অনেকেই দাম বেশি হওয়াতে ইলিশ মাছ না কিনেই খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন। অনেকেই আবার ইলিশের স্বাদ অন্য মাছ দিয়ে মেটাচ্ছেন। 

নগরীর সন্ধ্যা বাজারের মাছ ব্যবসায়ী ইমদাদুল হক বলেন, ‘এলসি বন্ধ। ইলিশের আমদানি বেশি। তাই গত কয়েকদিনের তুলনায় মাছের দাম কেজিতে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কম।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেড়কেজি সাইজের ২৪০০ থেকে ২৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি সাইজের মাছ ১৭০০ থেকে ১৮০০ টাকায়, ৫০০ গ্রাম সাইজের প্রতি কেজি ইলিশ ১২০০ থেকে ১৬০০ টাকায় এবং জাটকা ইলিশ ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায় কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে।’ 

এই বাজারের অপর ব্যবসায়ী মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘শেষ মুহূর্তে এলসি বন্ধ থাকায় আজ খুলনার ব্যবসায়ীরা কিছু ইলিশ পেয়েছেন। ইলিশের আমদানি এদিনে বেশি হলেও দাম কমেনি। অনেকেই ইলিশ কিনতে দোকানে ভিড় করছেন কিন্তু সাধ থাকলেও দাম সাধ্যের বাইরে। একারণে বেশিরভাগ ক্রেতাই অন্যান্য মাছ কিনছেন।’

বাজারের বাইরের সড়কে ফুটপাথের মাছ বিক্রেতা আক্তার মোল্লা বলেন, ‘বড় মাছের দাম অনেক। অনেকের ছোট মাছের দিকে ঝোঁক বেশি।’

ওই বাজারে ইলিশ কিনতে আসা সোনাডাঙ্গার বাসিন্দা কাজী মোজাম্মেল বলেন, ‘মাছের দাম চড়া। তিনটি ইলিশে এককেজি। ১৮০০ টাকা দরে কিনেছি। আজ যেহেতু এলসি বন্ধ দাম কম ভেবে মাছ কিনতে ময়লাপোতা সন্ধ্যা বাজারে গিয়ে দেখি উল্টো চিত্র। সরকার ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। এ জিম্মিদশা থেকে বের হতে না পারলে কোনভাবে কোনো কিছুর দাম কমানো যাবে না।

ইলিশ কিনতে স্ত্রীকে সাথে নিয়ে বাজারে এসেছিলেন বসুপাড়ার বাসিন্দা এস এম ফরিদ আহমেদ। মাইকিং করতে দেখে মাছ কিনতে রিকশা থেকে নেমে অভিযোগ করে বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা বড় মাছ ৫০০ টাকা করে বললেও কাছে গিয়ে দেখা যায় মাছের আকার ছোট। আধাঘণ্টা ধরে বাজারে ঘুরে দুই কেজি মাছ কিনেছি।’

তিনি বলেন, ‘গত মাসে এক কেজি সাইজের মাছ ১৬০০ টাকায় কিনেছি কিন্তু আজ সেই একই সাইজের ইলিশ ১৮০০ থেকে দুই হাজার টাকায় বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। দেশের মানুষ দেশের মাছ খাবে কিন্তু দাম বেশি হওয়ার কারণে আজ অনেকের নাগালের বাইরে চলে গেছে।’

নুরুজ্জামান/সনি


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়