ঢাকা     শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ৮ ১৪৩১

মানিকগঞ্জে ডোবায় ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৩৫, ১৪ অক্টোবর ২০২৪   আপডেট: ১৭:৫২, ১৪ অক্টোবর ২০২৪
মানিকগঞ্জে ডোবায় ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় ডোবায় ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার দিঘী ইউনিয়নের কয়রা এলাকায় মারা যায় তারা।

মারা যাওয়া শিশুরা হলো- উপজেলার দিঘী ইউনিয়নের কাগজিনগর গ্রামের প্রবাসী মো. রুবেল কাজীর মেয়ে আনহা আক্তা(৭) ও একই ইউনিয়নের খরসতাই গ্রামের মো. সিনহা আক্তার (৮)। তারা দুই জনই কয়রা গ্রামের মাদরাসাতুল ওহি-আল ইসলামিয়ায় কেজি ওয়ানের শিক্ষার্থী ছিল। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সকালে দুই শিশু বাড়ি থেকে পরীক্ষা দিতে মাদরাসায় যায়। সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত চলে পরীক্ষা। এরপর চার থেকে পাঁচজন শিশু আনহা আক্তারের বাড়িতে পরীক্ষার হার্ডবোর্ড রেখে কয়রা গ্রামের চকে শাপলা তুলতে যায়। শাপলা তুলে ফেরার সময় দুই শিশু ডোবায় পরে যায়। সাঁতার না জানার কারণে তারা পানিতু ডুবে যায়। সন্তানরা বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাদের খুঁজতে শুরু করে। শাপলা তুলতে যাওয়াদের মধ্যে তানিসা নামে এক শিশু তার মায়ের কাছে ঘটনাটি বলে। পরে স্থানীয় লোকজন গিয়ে দুই শিশুকে ডোবা থেকে উদ্ধার করে। তারা শিশু আনহাকে কর্নেল মালেক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং  সিনহাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুই শিশুকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনা জানার পরে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।

আরো পড়ুন:

মারা যাওয়া শিশু আনহার দাদা আবদুল হালিম বলেন, ‘আমরার নাতনি আজ পরীক্ষা দেওয়ার জন্য মাদরাসায় যায়। পরীক্ষা শেষে বাড়ি না আসায় চিন্তায় ছিলাম। পরে স্থানীয় লোকজনের কাছে জানতে পারি, আমার নাতনি শাপলা তুলতে গিয়ে পানিতে পরে গেছে। নাতনি বাড়িতে ঠিকই আসলো কিন্তু জীবিত না, লাশ হয়ে।’

কয়রা গ্রামের বাসিন্দা মো. লিটন খান বলেন, ‘কয়েকজন শিশু কয়রা চকে শাপলা ফুল তুলতে যায়। যেখান থেকে তারা ফুল তুলেছে তার পাশেই একটি ডোবা আছে। শুষ্ক মৌসুমে সেখানে ভেকু দিয়ে মাটি কাটা হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, ফুল তুলে ফেরার সময় শিশু দুটি হয়তো ডোবায় পরে গেছে।’

মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আমান উল্লাহ জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পেরেছি, শিশু দুটিকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। দায়িত্বরত চিকিৎসকরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

চন্দন/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়