ঢাকা     বুধবার   ১৬ অক্টোবর ২০২৪ ||  আশ্বিন ৩১ ১৪৩১

‘আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলাম বলেই আমাকে মারধর করা হয়েছে’

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৪২, ১৫ অক্টোবর ২০২৪   আপডেট: ২১:৪৫, ১৫ অক্টোবর ২০২৪
‘আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলাম বলেই আমাকে মারধর করা হয়েছে’

মারধরে আহত রবিউস সানী।

ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। গতকাল সোমবার (১৪ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়নের ফারুকনগর ইসমাইল ব্যাপারী হাই স্কুল মাঠে তাকে মারধর করা হয়। তিনি সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আহত শিক্ষার্থীর নাম রবিউস সানী (২২)। তিনি ধামসোনা ইউনিয়নের নতুনগর এলাকার বাসিন্দা এবং আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশের (এআইইউবি) শিক্ষার্থী। 

অভিযুক্তরা হলেন- ধামসোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মেহেদি হাসান হিরু, কর্মী মো. রহিম এবং একই ইউনিয়নের ছাত্রলীগ কর্মী মো. শান্ত।

আরো পড়ুন:

রবিউস সানীর পরিবারের সদস্যরা জানান, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রবিউস সানী পেটে গুলিবিদ্ধ হন। হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বর্তমানে তিনি পরিবারের সঙ্গে বাড়িতে থাকেন। গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে রবিউস সানী ও আরো দুই বন্ধু মিলে এলাকার ফারুকনগর ইসমাইল ব্যাপারী হাই স্কুল মাঠে বসে গল্প করছিলেন। এসময় শান্ত ও রহিম সেখানে গিয়ে তাদের মাঠ থেকে চলে ‍যেতে বলেন। এক পর্যায়ে মেহেদি হাসান হিরু সেখানে উপস্থিত হয়ে রবিউস সানী ও তার বন্ধুদের সঙ্গে বাজে ব্যবহার করেন। এরপর মেহেদী হাসান হিরু, শান্ত ও রহিম মিলে রবিউস সানীকে মারধর শুরু করেন। পরে রবিউস সানীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

আহত রবিউস সানী বলেন, ‘আমি অসুস্থ। আন্দোলনের সময় আমার পেটে গুলি লাগে। বাড়ি থেকে তেমন বের হই না। গতকাল রাতে এলাকার স্কুল মাঠে গেছিলাম। আমি ওই এলাকায় আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলাম। সেই ক্ষোভ থেকে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সদস্যরা আমাকে পিটিয়েছে। আমি তাদেরকে বলি, আমাকে মারিস না আমার পেটে গুলি লেগেছে। তাও ছাড়েনি ওরা।

হামলার ঘটনা জানার পরই গতকাল দিবাগত রাত ২টার দিকে এনাম মেডিক্যাল হাসপাতালে ভুক্তভোগীকে দেখতে যান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আরিফ সোহেল। তিনি বলেন, ‘ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আন্দোলনকারীকে মারধর করা হয়েছে। যতদিন পর্যন্ত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার না করা হবে ততদিন আমরা মাঠে থাকব।’

এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ইয়াসিন বলেন, ‘ছেলেটিকে মারধর করা হয়েছে। তিনি কানের পর্দায় আঘাত পেয়েছেন ৷ এ ছাড়া তেমন কোনো গুরুত্বর সমস্যা নেই।’

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘গতকাল রাতেই তাকে (রবিউস সানী) হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলাম। ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরা এ ঘটনায় মামলা দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন। এখনো তারা লিখিত কোনো অভিযোগ দেননি। ভুক্তভোগীর আইনী সহযোগিতা নিশ্চিত করা ও  অপারাধীদের আইনের আওতায় আনতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

সাব্বির/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়