ঢাকা     বুধবার   ১৬ অক্টোবর ২০২৪ ||  আশ্বিন ৩১ ১৪৩১

লক্ষ্মীপুরে স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল স্ত্রীর

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৩৭, ১৬ অক্টোবর ২০২৪  
লক্ষ্মীপুরে স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল স্ত্রীর

লক্ষ্মীপুরে বাড়িতে ঢুকে হারুনুর রশিদ নামে এক ইটভাটার মাঝিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। এসময় স্বামীকে বাঁচাতে গেলে গৃহবধূ জেসমিন আক্তারকে (৩৫) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হারুনের ছোট ভাই হিরনকে আটক করেছে পুলিশ। 

বুধবার (১৬ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কায়সার হামিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

এর আগে মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) রাত আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার কুশাখালী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ঝাউডগি গ্রামের নুর মোহাম্মদ ডাক্তার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। 

আহত হারুন ওই বাড়ির মৃত আনিছ মোল্লার ছেলে। নিহত জেসমিন হারুনের স্ত্রী। 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, হারুনের ৪-৫টি গরু রয়েছে। এরমধ্যে একটি গরু অসুস্থ। ঘটনার সময় বাইরে শব্দ হচ্ছিল। হারুন মনে করেছিল তার গরু আবার অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এতে তিনি ঘরের বাইরে বের হন গরু দেখতে। এরমধ্যেই আগ থেকে সেখানে লুকিয়ে থাকা দুর্বৃত্তরা তাকে লক্ষ্য করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেয়। চিৎকার দিলে হারুনের স্ত্রী জেসমিন ঘর থেকে বের হয়ে ঘটনাটি দেখতে পান। একপর্যায়ে স্বামীকে বাঁচাতে হামলাকারীদের কাছে অনুনয়-বিনয় করেন। স্বামীর প্রাণ ভিক্ষা চান। এরমধ্যে হারুন সেখান থেকে পালিয়ে যান। ধারণা করা হচ্ছে- হামলাকারীদের মধ্যে কাউকে জেসমিন চিনে ফেলেছেন। এতে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হামলাকারী ৭-৮ জন ছিলেন। হারুনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

এদিকে হারুনের সঙ্গে তার ছোট ভাই হিরনের জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। এর জের ধরে ঘটনাটি ঘটতে পারে বলে স্থানীয়রা হিরনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। 

হারুনের চাচাতো ভাই খুরশিদ আলম বলেন, ধারণা করা হচ্ছে ডাকাতি করতে বাড়িতে ঢুকে আমার চাচাতো ভাইকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। এসময় আমার ভাবিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। তবে বাড়ি থেকে কোনো কিছু লুট হয়নি।

চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কায়সার হামিদ বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আহত হারুনের সঙ্গেও কথা হয়েছে। নিহত জেসমিনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। স্থানীয়রা ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে হারুনের ভাই হিরনকে আটক করে রাখে। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমরা তাকে থানায় নিয়ে এসেছি। হিরনের সঙ্গে হারুনের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই ঘটনাটি ঘটতে পারে।

জাহাঙ্গীর/ইমন


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়