দুই শিক্ষক দম্পতির যমজ ৪ মেয়ের জিপিএ ৫ অর্জন
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
সামিয়া জাহান আফসানা (বায়ে) ও সাদিয়া জাহান শাহানা এবং যারীন তাসনীম (বাম থেকে তৃতীয়) ও যাহারা তাসনীম
টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলায় দুই দম্পতির চার যমজ মেয়ে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) এইচএসসি পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে কুমুদিনী সরকারি কলেজ ও হলিক্রস কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে অংশ নিয়ে তারা জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়।
সখীপুর পৌর এলাকার আল আমিন মিয়া ও আফিয়া আক্তার দম্পতির সন্তান সামিয়া জাহান আফসানা ও সাদিয়া জাহান শাহানা সরকারি কুমুদিনী সরকারি কলেজ থেকে জিপিএ ৫ পেয়েছে। তারা পিএসসি, জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষাতেও জিপিএ ৫ পেয়েছিল।
বাবা আল আমিন বড় চওনা কুতুবপুর কলেজের সহকারী অধ্যাপক এবং মা আফিয়া আক্তার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। আল আমিন মিয়া বলেন, ‘আমরা দুজনেই শিক্ষকতা পেশায় থাকার কারণে মেয়েদের সময় দিতে পারিনি। তবে মেয়েরা পড়াশোনার বিষয়ে খুবই মনোযোগী ছিল বলেই তারা ভালো ফলাফল অর্জন করেছে।’
জিপিএ ৫ প্রাপ্ত আফসানা ও শাহানা বলেন, ‘আমাদের ভালো ফলাফলে বাবা-মার পাশাপাশি শিক্ষকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। আমরা পড়াশোনায় সময়ের গুরুত্ব দিয়েছি বলেই ভালো ফলাফল করতে পেরেছি।’ ভবিষ্যতে তারা দুইজনই চিকিৎসক হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
অপরদিকে, আবু জুয়েল সবুজ ও চায়না আক্তার শিক্ষক দম্পতির সন্তান যারীন তাসনীম ও যাহারা তাসনীম হলিক্রস কলেজর বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ ৫ পেয়েছে। তারাও পিএসসি জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছিল।
আবু জুয়েল সবুজ সূর্য তরুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। তাদের মা চায়না আক্তার গজারিয়া শান্তিকুঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
যারীন ও যাহারার বাবা আবু জুয়েল সবুজ বলেন, ‘আমি মেয়েদের পড়ার জন্য চাপ দেইনি, তারা তাদের মতো পড়াশোনা করে ভালো ফলাফল করেছে। যারীন তাসনিম ইঞ্জিনিয়ার এবং যাহারা তাসনিম চিকিৎসক হতে চায়।’
শিক্ষার্থী যারীন ও যাহারা বলেন, ‘আমরা নিয়মিত পড়াশোনা করেছি বলেই পরিশ্রম অনুযায়ী সাফল্য পেয়েছি। আমরা যাতে বুয়েট এবং ঢাকা মেডিকেলে চান্স পেয়ে বাবা মার মুখ উজ্জ্বল করতে পারি, সেই চেষ্টা অব্যাহত রাখব। আমাদের সাফল্য কামনায় সকলের কাছে দোয়া চাইছি।’
কাওছার/বকুল