বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থীর লাশ উত্তোলন
বগুড়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
দাফনের দুই মাস পর সাব্বির হোসেনের লাশ উত্তোলন করা হয়
বগুড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছুরিকাঘাতে নিহতের দুই মাস পর শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেনের লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে গাবতলী উপজেলার সুখানপুকুর ইউনিয়নের তেলিহাটা মধ্যপাড়া এলাকায় কবরস্থান থেকে তার লাশ তোলা হয়।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে আনন্দ মিছিল শেষে বাড়ি ফেরার পথে সাব্বির হোসেন দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নিহত হয়। ১৫ আগস্ট এ ঘটনায় মামলা হলে তদন্তের জন্য আদালত লাশ উত্তোলনের নির্দেশ দেন। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু শাহমার নেতৃত্বে সাব্বিরের লাশ উত্তোলন করা হয়।
সাব্বির হোসেন (১৪) গাবতলী উপজেলার তেলিহাটা মধ্যপাড়া এলাকায় শাহিন আলমের ছেলে। সে সুখানপুকুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে আনন্দ মিছিলে অংশ নেয় সাব্বির। মিছিল শেষে বাড়ি ফেরার পথে সোনাতলা উপজেলার শিহিপুর এলাকায় পৌঁছালে তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। এরপর সাব্বিরের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করে পরিবার।
সাব্বিরের বাবা শাহিন আলম বাদী হয়ে সোনাতলা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে সারিয়াকান্দি-সোনাতলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান ও সোনাতলা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মিনহাদুজ্জামান লিটনসহ ২০ জন নামীয় ও অজ্ঞাত ২০-৩০ জনকে আসামি করা হয়। মামলার তদন্তের স্বার্থে লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিলাদুন্নবী বলেন, সাব্বির হত্যার ঘটনায় তার বাবা থানায় হত্যা মামলা করেছেন। যেহেতু সেসময় ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহতের লাশ দাফন করা হয়, তাই তদন্তের স্বার্থে লাশটি ময়নাতদন্তের আদেশ দেন আদালত। ময়নাতদন্তে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে এবং পুলিশ ও আদালত আইনগত পদক্ষেপ নেবে।
এনাম/বকুল