নোয়াখালী বিএডিসিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলা
নোয়াখালী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
অভিযুক্ত মিরাজ হোসেন শান্ত
নোয়াখালীতে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) কার্যালয়ে তথ্য চাইতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন দুই সাংবাদিক বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরের দিকে জেলা শহর মাইজদীর নতুন বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন বিএডিসির উপ-পরিচালকের কার্যালয়ে তাদের ওপর হামলা হয়।
হামলার শিকার সাংবাদিকরা হলেন- দৈনিক বাংলার জেলা প্রতিনিধি মাহাবুবুর রহমান বাবু এবং রাইজিংবিডির নোয়াখালী প্রতিনিধি মাওলা রকিবুল আহসান (মাওলা সুজন)।
মাহাবুবুর রহমান বাবু জানান, বিএডিসির নিয়মিত-অনিয়মিত শ্রমিকদের তালিকা, যেসব কৃষকদের কাছ থেকে নারকেল গাছ সংগ্রহ করা হয়েছে তাদের তালিকা এবং বিক্রয় তালিকার জন্য তথ্য অধিকার ফরমে আবেদন করা হয়। আবেদনটি নিয়ে বিএডিসি উপ-পরিচালক (বীজ বিপণন) এর জেলা কার্যালয়ে তিনি ও মাওলা সুজন স্বশরীরে যান। সেখানে উপ-পরিচালক নুরুল আলম এর সঙ্গে তার কক্ষে কথা বলছিলেন তারা। এসময় প্রতিষ্ঠানের স্টোর কিপার মিরাজ হোসেন শান্ত কক্ষে প্রবেশ করে দুই সাংবাদিকের ভিডিও করতে শুরু করেন এবং তারা চাঁদা নিতে এসেছেন বলে চিৎকার করতে থাকেন। পরে মওলা সুজন শান্তর হাত থেকে মোবাইল ফোন নিয়ে নেন। এক পর্যায়ে শান্ত মাহবুবুর রহমানকে কিল-ঘুষি দেন। শান্ত লাঠি আনতে গেলে সাংবাদিক মওলা সুজন কক্ষের দরজা বন্ধ করে দেন।
মাওলা সুজন জানান, কার্যালয়ের প্রধানের সামনে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে এমন আচরণ করবে তা মেনে নেওয়া যায় না। তবে, উপ-পরিচালক এ সময় শান্তকে নিভৃত করার চেষ্টা করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মিরাজ হোসেন শান্ত লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর উপজেলার চরজাঙ্গলিয়া গ্রামের শাহজাহানের ছেলে। তিনি কমলনগর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
অভিযুক্ত মিরাজ হোসেন শান্ত নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘সাংবাদিক মাহাবুবুর রহমান বাবু ও মাওলা সুজন তার সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন। তার মোবাইলটি কেড়ে নেন।’
বিএডিসি জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (বীজ বিপণন) নুরুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘গণমাধ্যমকর্মীদের গায়ে হাত দেওয়া হয়নি। সেখানে ভিডিও করাকে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নোয়াখালী সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
সুজন/মাসুদ