খানাখন্দে বেহাল সড়ক
ইমরান হোসেন, বরগুনা || রাইজিংবিডি.কম
বরগুনার পাথরঘাটা-মঠবাড়িয়া মহাসড়কের ১৬৪ মিটার অংশ চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এই অংশে বৃষ্টির পানিতে পিচ ভেসে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দ। ফলে সড়কে যাতায়াতকারীরা পড়ছেন ঝুঁকির মধ্যে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কাজ সমাপ্ত ও সড়ক হস্তান্তরের আগেই গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সঙ্গে সড়ক নির্মাণকাজে অনিয়মেরও অভিযোগ করেছেন তারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বরগুনার পাথরঘাটা-মঠবাড়িয়া মহাসড়কের ১৬৪ মিটার সড়ক নির্মাণের টেন্ডার পায় কুষ্টিয়ার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কৌশলী এন্টারপ্রাইজ। স্থানীয়ভাবে কাজটি বাস্তবায়ন করেন যুবলীগ নেতা আবু হানিফ দোলন। ৪৪ লাখ ৩০ হাজার ৯৬৩ টাকার টেন্ডারে গত জুলাই মাসে সড়কটির দুটি স্থানের কাজ শেষ করে ঠিকাদার।
দুই মাসের মধ্যেই কাজী বাড়ি পেট্রোল পাম্প ও মাছের খাল বাজার সংলগ্ন সড়কের পিচ বৃষ্টিতে ভেসে গেছে। খানাখন্দে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে দুটি স্থান।
স্থানীয় বাসিন্দা তৌহিদুল ইসলাম শুভ বলেন, ‘প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে আমরা চলাচল করি। প্রতিদিনই ভোগান্তি পোহাতে হয় আমাদের। সড়ক জনপথের সঙ্গে যোগসাজশে ঠিকাদার নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় ভেঙে গেছে সড়ক। এখন এই সড়ক চলাচলের অনুপযোগী।’
মাছের খাল বাজারের মুদি দোকানি জাফর হোসেন বলেন, ‘সড়কের কাজ হয়েছে খুবই নিম্নমানের। এখন বৃষ্টি নামলে সড়কে থাকা খানাখন্দে পানি জমে থাকে। ফলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে। এছাড়া, ধুলা-বালিতে অন্ধকার হয়ে যায় আশপাশ। দোকানের সব মালামাল নষ্ট হচ্ছে ধুলায়।’
এই সড়কে যাতায়াতকারী অটোরিকশা চালক সাইফুল মিয়া বলেন, ‘এই সড়কে গাড়ি চালাতে খুবই কষ্ট হয়। মাঝে মধ্যেই গাড়ি নষ্ট হয়।’
এ বিষয়ে আবু হানিফ দোলন বলেন, ‘কোন অনিয়ম হয়নি। বৃষ্টির কারণে ক্ষতি হয়েছে সড়কের। এই দায়ভার আমার না। তারপরও সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তার আমাকে বলেছে কাজটি পুনরায় করে দিতে। আমি চেষ্টা করবো।’
সড়ক জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী কুমারেশ বিশ্বাস রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘আমাদের এখনো কাজ বুঝিয়ে দেয়নি ঠিকাদার। আমরা খানাখন্দের রাস্তা বুঝে নেবো না। অবশ্যই ঠিকাদার কাজ করতে বাধ্য। আমি কথা বলেছি, ঠিকাদারের সঙ্গে। বৈরি আবহাওয়া শেষ হলেই ঠিকাদারের থেকে কাজ আদায় করে নেব আমরা।’
ইমরান/মাসুদ