জলকামানের মুখে সড়ক ছাড়লেন শ্রমিকরা
সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় বকেয়া বেতন ও কারখানা চালুর দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভরত শ্রমিকদের ওপর জলকামান থেকে পানি নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। এতে ছত্রভঙ্গ হয়ে ৩২ ঘণ্টা পর সড়ক ছাড়েন শ্রমিকরা। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইল ত্রি-মোড় থেকে শ্রমিকদের সরিয়ে দেওয়া হয়।
এর আগে, গতকাল সোমবার সকাল ৯টা থেকে আজ বিকেল ৫টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন আশুলিয়ার জেনারেশন নেক্সট লিমিটেড কারখানার কয়েকশ শ্রমিক। তারা টানা সড়ক অবরোধ করায় নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক এবং আব্দুল্লাহপুর-বাইপাইল মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়।
আন্দোলনকারী শ্রমিকরা জানান, তিন মাসের বেশি সময় ধরে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে কারখানা বন্ধ রেখেছেন মালিকপক্ষ। কারখানাটিতে কাজ করেন প্রায় ৬ হাজার শ্রমিক। গত ৪ মাস ধরে তাদের বেতন বকেয়া রয়েছে। বেতন পরিশোধের দাবিতে শমিকরা কয়েকদফা আন্দোলন করেছেন। বিজিএমইএসহ অন্যান্য দপ্তরে যোগাযোগ করেছেন। তারপরও কর্তৃপক্ষ পাওনা পরিশোধ না করায় তারা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, আজ বিকেলে শিল্প পুলিশসহ যৌথবাহিনীর সদস্যরা শ্রমিকদের প্রথমে বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। শ্রমিকরা না মানায় একপর্যায় জলকামান থেকে পানি নিক্ষেপ করে পুলিশ আন্দোলনকারীদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়া।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কারখানা সংশ্লিষ্ট একজন বলেন, কারখানার চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন। ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজীব শেট্টি ভারতীয় নাগরিক। তিনি দেশে ফিরে গেছেন। ফলে শ্রমিকদের বেতন এবং কারখানা খোলার বিষয়টি এখনো সমাধান হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কারখানা কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট একজন বলেন, ব্যাংক ঋণ পেলে কারখানা পুনরায় চালু করা যাবে।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, কারখানার মালিকের বোন ও ডিএমডিকে আইনের আওতায় এনেছে যৌথবাহিনী। এটি বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের জানানো হয়। প্রয়োজনে নিয়ম মেনে কারখানা বিক্রি করে বা মালামাল বিক্রি করে হলেও শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হবে। এটি জানিয়ে শ্রমিকদের সড়ক ছেড়ে দেওয়ার জন্য বলা হয়। শ্রমিকদের একটি পক্ষ বিষয়টি মেনে নেয়। তবে, আরেকটি পক্ষ সড়কেই অবস্থান নিয়ে থাকার কথা জানায়। পরে বাধ্য হয়ে আমরা জলকামান ব্যবহার করে তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেই।’
সাব্বির/মাসুদ