ঢাকা     বুধবার   ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ||  কার্তিক ৭ ১৪৩১

আ.লীগ নেতার জামিন: আদালত ঘেরাও করে বিচারকের প্রত্যাহার দাবি

কক্সবাজার প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৩৭, ২৩ অক্টোবর ২০২৪  
আ.লীগ নেতার জামিন: আদালত ঘেরাও করে বিচারকের প্রত্যাহার দাবি

কক্সবাজারে আওয়ামী লীগ নেতাকে জামিনের প্রতিবাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা বুধবার (২৩ অক্টোবর) বেলা ১২টার দিকে আদালত ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে বিচারকের প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। এ সব কর্মসূচিতে শিক্ষার্থী ছাড়াও বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত আইনজীবীরা বক্তব্য রাখেন।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুন্সী আবদুল মজিদ শুনানি শেষে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাসেদুল হক রাশেদকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের জের ধরে দায়ের করা হত্যাসহ তিনটি মামলায় জামিন দেন।

কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবুল কালাম সিদ্দিকীর জিম্মায় আওয়ামী লীগ নেতা রাশেদের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। আবুল কালাম সিদ্দিকী বিএনপি-জামায়ত সমর্থিত প্যানেলে আইনজীবী সমিতির সভাপতি।

আরো পড়ুন:

জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাসেদুল হক রাশেদকে গত ১৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১৫। পরে তাকে ৩টি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গত ৪ আগস্ট সন্ধ্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিল চলাকালে এক শিক্ষার্থীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় ১৭ আগস্ট কক্সবাজার সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সেলিম মিয়া বাদী হয়ে হত্যা মামলা রুজু করেন। সেই মামলায় অজ্ঞাত আসামি হিসেবে মাসেদুল হক রাশেদকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। 

তার জামিনের বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর বুধবার দুপুরে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা মিছিল সহকারে আদালত প্রাঙ্গণে যান। এ সময় আদালত প্রাঙ্গণে বিচারকের প্রত্যাহারের দাবি জানান। এ সময় বক্তব্যে শিক্ষার্থী ও আইনজীবীরা বলেন, ফ্যাসিবাদের পক্ষে গিয়ে বিচারকরা ছাত্র আন্দোলনে হামলাকারীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে জামিন দিয়েছেন। এতে তাদের দ্রুত পুনর্বাসনের সুযোগ হবে। তাই বিচারকের প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা।

কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবুল কালাম সিদ্দিকী বলেন, ‘রাশেদকে যে তিনটি মামলার আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়, ওই মামলায় নাম উল্লেখে এজাহারভুক্ত আসামি নন তিনি। একই সঙ্গে কারা কর্তৃপক্ষ আদালতে রাশেদ গুরুতর অসুস্থ বলে লিখিতভাবে জানিয়েছে। সব বিবেচনায় আদালত এই মামলায় রাশেদেকে আমার জিম্মায় জামিন দেন। এটা ন্যায় বিচারের অংশ।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের আমলে আমি নিজেও মামলার আসামি হয়ে কারাভোগ করেছি। বিএনপির অ্যাডভোকেট মান্নানসহ আরও অনেক আইনজীবী নিজেও কারাভোগ করেছেন। ওই সময় আমাদের জামিনের ক্ষেত্রে বিচার ব্যবস্থায় নগ্ন হস্তক্ষেপ করা হয়েছিল। এখন আবারও তা করা যাবে না। বিচারিক ব্যবস্থাকে আইনের গতিতে চলতে দিতে হবে।’
 

তারেকুর/বকুল 

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়