ঢাকা     রোববার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ৭ ১৪৩১

৮ দাবিতে চট্টগ্রামে সনাতন জাগরণ মঞ্চের গণসমাবেশে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:২৪, ২৫ অক্টোবর ২০২৪  
৮ দাবিতে চট্টগ্রামে সনাতন জাগরণ মঞ্চের গণসমাবেশে

চট্টগ্রামের লালদিঘী মাঠে সনাতন জাগরণ মঞ্চের বৃহত্তর গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আট দাবিতে শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই সমাবেশ করেন তারা। গণসমাবেশে চট্টগ্রাম শহর ও বিভিন্ন উপজেলা, কক্সবাজার এবং তিন পার্বত্য জেলা থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা অংশ নেন। 

বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ও পুন্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর সভাপতিত্বে এবং স্বতন্ত্র গৌরাঙ্গ দাস ব্রহ্মচারীর সঞ্চালনায় গণসমাবেশে বক্তব্য রাখেন- শংকর মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ তপনান্দ গিরি মহারাজ, পটিয়া পাচোরিয়া তপোবন আশ্রমের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ রবীশ্বরানন্দ পুরী মহারাজ, ইসকন প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের অধ্যক্ষ লীলারাজ গৌর দাস ব্রহ্মচারী, বাঁশখালী ঋষিধামের মোহন্ত সচিদানন্দ পুরী মহারাজ, শ্রীমৎ মুরারী দাস বাবাজী, তপোবন আশ্রমনের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ প্রাঞ্জলানন্দ পুরী মহারাজসহ সাংবাদিক, আইনজীবী ও শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

বক্তারা বলেন, অন্তবর্তীকালীন সরকারকে আমরা ধন্যবাদ দিতে চাই। তারা দুর্গা পূজায় একদিন ছুটি বাড়িয়েছেন। তবে সেটি পর্যাপ্ত নয়। আমরা চেয়েছি পাঁচ দিনের ছুটি। সেখানে দুই দিন ছুটি কেন? যেই বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে এদেশের ছাত্র-জনতা প্রাণ দিয়েছে সেখানে আবার বৈষম্য হবে কেন? আট দফা দাবি মেনে নেওয়া কঠিন কিছু নয়। এই সরকার যদি দাবিগুলো মেনে নেয়, তবে আমরা আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব।

আরো পড়ুন:

সনাতন জাগরণ মঞ্চের ঘোষিত ৮ দাবি হলো- সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিচারের জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দোষিদের দ্রুততম সময়ে উপযুক্ত শান্তি প্রদান, ক্ষতিগ্রস্তদের যথাপোযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। অনতিবিলম্বে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রনয়ন করতে হবে। সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন করতে হবে। হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে হিন্দু ফাউন্ডেশনে উন্নীত করতে হবে। পাশাপাশি বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টানধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টিকেও ফাউন্ডেশনে উন্নীত করতে হবে। ‘দেবোত্তর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন এবং অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পন আইন’ যথাযথ বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংখ্যালঘুদের জন্য উপাসনালয় নির্মাণ এবং প্রতিটি হোস্টেলে প্রার্থনা রুম বরাদ্দ করতে হবে। সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা বোর্ড, আধুনিকায়ন করতে হবে। শারদীয় দুর্গা পূজায় পাঁচ দিন ছুটি দিতে হবে।

রেজাউল/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়