বাবা-ছেলেকে হত্যার ২৫ বছর পর মামলা, নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে পরিবার
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
চুয়াডাঙ্গায় ২৫ বছর আগে রহিম বকস ও তার ছেলে শফিউল ইসলাম খুনের ঘটনায় আদালতে মামলা হয়েছে। নিহত শফিউল ইসলামের ছেলে এস এ হৃদয় বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) আলমডাঙ্গা থানা আমলী আদালতে দুজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনকে আসামি করে মামলাটি করেন। আসামিরা চরমপন্থী দলের সদস্য হওয়ায় জান-মালের নিরাপত্তার দাবিতে বাদীর পরিবার সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১২টায় চুয়াডাঙ্গা প্রেস ক্লাবের হল রুমে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে লিখিত বক্তব্য রাখেন- আইন সহায়তাকারী সংস্থা মানবতা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট মানি খন্দকার। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার রায়সা গ্রামের মৃত শফিউল আলমের ছেলে এস এ হৃদয় তার বক্তব্যে বলেন, ১৯৯৯ সালে আমার বয়স তখন ১২ বছর। সে সময় চরমপন্থী দলের সদস্য একই উপজেলার খেজুরতলা গ্রামের গঞ্জের আলীর ছেলে মঞ্জুর আলী ও মধুপুর গ্রামের তোরাব আলীর ছেলে বাবলু রহমান আমার বাবার কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার জানালে ১৯৯৯ সালের ১৬ জানুয়ারি রাতে তারাবি নামাজ পড়ানোর সময় চরমপন্থী নেতা মঞ্জুর আলী ও বাবলু রহমানসহ অজ্ঞাতনামা সদস্যরা আমার বাবা শফিউল আলম (৩৫) ও আমার দাদা রহিম বক্স প্রামানিককে (৬০) আমাদের বাড়ির উঠানে গুলি ও গলা কেটে হত্যা করে ফাকা গুলি করতে করতে পালিয়ে যায়। সে সময় বা বিগত ২৫ বছর আমরা চরমপন্থীদে ভয়ে অপরাধীদের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারিনি।
তবে, এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে আমি আমার বাবা ও দাদা হত্যার বিচার চেয়ে গত ২৪ অক্টোবর আদালতে মামলা দায়ের করেছি। কিন্তু মামলা দায়েরের পর থেকে আমার বাড়ির আসপাশে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আনাগোনা বেড়েছে। এছাড়াও আমার আইনজীবীর কাছে মোবাইল করে হুমকি দেওয়া হয়। এতে করে আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
মামুন/ইমন