নিম্নমানের কাজের অভিযোগ
ভূঞাপুর-তারাকান্দি আঞ্চলিক মহাসড়কে গর্ত
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
বৃষ্টির পানিতে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর-তারাকান্দি আঞ্চলিক মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ঝুঁকি নিয়ে এই সড়কে যানবাহন চলাচল করছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, সড়কের সংস্কার কাজ এখনো শেষ হয়নি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের কাজ করায় বৃষ্টির পানিতে সড়কে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকস্থানে স্থানীয়রা লাল নিশানা টাঙিয়ে দিয়েছিলেন। তবে, কিছু জায়গা সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) বালুর বস্তা দিয়ে গর্ত মেরামত করেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ভূঞাপুর-তারাকান্দি আঞ্চলিক মহাসড়কের টেপিবাড়ি, কুঠিবয়ড়া, নলীনসহ কয়েকটি স্থানে বৃষ্টির পানিতে সড়ক ধসে গেছে। সেখানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
জেলা সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ) সূত্রে জানা গেছে, ২৮ কিলোমিটারের ভূঞাপুর-তারাকান্দি মহাসড়ক (জেড ৪৮০১) মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতিকরণের জন্য ২০১৯ সালে ৩০৭ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। ২০২১সালে কাজ শেষ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। কাজটি পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রানা বিল্ডার্স। নির্ধারিত সময় তারা কাজটি শেষ করতে না পারায় দুইবার সময় বৃদ্ধি করে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়।
কাজের মধ্যে ছিল- ভূমি অধিগ্রহণ, পেভমেন্ট নির্মাণ, আরসিসি বক্স কালভার্ট নির্মাণ, বাস-বে ও ট্রাক-বে নির্মাণ, সসার ড্রেন নির্মাণ। এছাড়া, প্রকল্প এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্লুইজ গেট রক্ষায় কালভার্টের ডিজাইন পরিবর্তন ও এক্সেল লোড কন্ট্রোল স্টেশন নির্মাণের স্থান পরিবর্তন ইত্যাদির কারণে প্রকল্পটি সংশোধন করা হয়। এতে প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি না পেলেও প্রাক্কলিত ব্যয় কমে দাঁড়ায় ৩০১ কোটি টাকায়।
সওজ সূত্রে জানা গেঝে, ভূঞাপুর-তারাকান্দি মহাসড়ক (জেড৪৮০১) মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতিকরণের কাজ শেষ হাওয়ার আগে থেকেই বৃষ্টির পানিতে বিভিন্ন জায়গায় ধসে পড়েছিল। সম্প্রতি নতুন করে আবারও ভারী বৃষ্টির কারণে সড়কটির বিভিন্নস্থানে ধসে পড়ে। সড়ক ধসে ও গর্ত সংস্কারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কয়েকবার চিঠি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পালন করছে না।
ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চলাক রাকিব বলেন, সড়কের পাশে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। গর্তগুলো রাতে বুঝা যায় না। ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চলাতে হয়। যেকোন সময় গর্তে পরিবহন পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটর সম্ভাবনা রয়েছে।
সাব ঠিকাদার জনি বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে এমন হয়েছে। অনেক জায়গার গর্ত পূরণ করা হয়েছে। মূল ঠিকাদারকে রাস্তা সংস্কার করতে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সপ্তাহখানেকের মধ্যেই কাজ শেষ করা হবে।’
টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী দিদারুল আলম বলেন, ‘ভূঞাপুর-তারাকান্দি মূল সড়কটির কোনো ক্ষতি হয়নি। সড়কের পাশের কিছু কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধসে যাওয়া জায়গাগুলো মেরামত করা হচ্ছে। কিছু জায়গার মেরামত এখনো বাকি রয়েছে। সেগুলো পর্যায়ক্রমে বালুর বস্তা ফেলে ভরাট করে ঠিক করা হচ্ছে।
জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সিনথিয়া আজমেরির বক্তব্য জানতে বারবার ফোন দেয়া হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
কাওছার/মাসুদ