স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তার গর্ত ভরাট
নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
এলাকাবাসীর আর্থিক সহায়তা ও স্বেচ্ছাশ্রমে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মদনপুরে শুরু হয়েছে রাস্তার গর্ত ভরাটের কাজ। সাধারণ মানুষের যাতায়াতে দুর্ভোগ কমাতে প্রশাসনের দিকে তাকিয়ে না থেকে রাস্তাটি মেরামতের উদ্যোগ নিয়েছেন এলাকাবাসী।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মদনপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের পেয়ারাবাগান থেকে উত্তরপাড়া সিদ্দিকের বাড়ি পর্যন্ত ভাঙা রাস্তায় মাটি ফেলছেন এলাকাবাসী। তাদের অভিযোগ, সড়কটি দিয়ে সংখ্য মানুষ যাতায়াত করেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এই রাস্তা মেরামতে কোনো উদ্যোগ নেয়নি। যে কারণে নিজেরাই বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাঁদা তুলে রাস্তার মেরামত কাজ শুরু করেছেন।
পেয়ারাবাগান গ্রামের বাসিন্দা সামসুল আলম বলেন, ‘এই রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন স্কুল-মাদরাসার শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ যাতায়াত করেন।রাস্তাটির একটি অংশ ভেঙে পুকুরে নিমজ্জিত হওয়ায় যাতায়াতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছিল। বৃষ্টি হলে পথচারীদের ভোগান্তি আরো বেড়ে যায়। জনপ্রতিনিধি বা সরকারের কোনো উদ্যোগ না থাকায় নিজেরাই রাস্তা মেরামত করছি।’
সুফিয়া বেগম নামে একজন স্কুল শিক্ষক বলেন, ‘এই রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে ভাঙা। রাস্তাটি দিয়ে মালামাল নিয়ে যাওয়া খুবই কষ্টের। এমনকি অটোরিকশাও ঠিকভাবে চলাচল করতে পারে না। মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আ. মতিন এবং ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার শাকিল পারভেজ রনির সাড়া না পেয়ে প্রতি বাড়ি থেকে টাকা উঠিয়ে এলাকাবাসী রাস্তাটির মেরামত কাজ করছেন।’
এলাকাবাসীর অভিযোগ, মদনপুর ইউপি চেয়ারম্যান এম এ সালাম তার লোকজন দিয়ে রাস্তাটি করেন। আরসিসি ঢালাইয়ের বরাদ্দ থাকলেও নিম্নমানের ইট, বালু ও সিমেন্ট দিয়ে রাস্তাটি করে বিল উঠিয়ে নিয়ে গেছেন। রড ব্যবহার করে রিটার্নিং ওয়াল ও রাস্তাটির ঢালাই দিলে এমন অবস্থা হতো না। আমরা জানতে পেরেছি, কিছুদিন আগে ইউনিয়ন পরিষদে বরাদ্দ এসেছে, কী কারণে এই রাস্তাটি নির্মাণে বরাদ্দ দেওয়া হলো না তা আমাদের জানা নেই।
মদনপুর ইউপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আ. মতিন বলেন, ‘এলাকাবাসী আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলো। বরাদ্দ না থাকায় কিছু করতে পারিনি। কয়েক দিনের মধ্যে আমরা একটি বরাদ্দ পাবো। আশা করছি, সেই বরাদ্দ থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গাইড ওয়ালসহ এ রাস্তাটিতে আরসিসি ঢালাই দিতে পারবো।’
অনিক/মাসুদ