ফের সাফ জয়ের আনন্দে ভাসছে কলসিন্দুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
জাতীয় নারী ফুটবল দল সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় কলসিন্দুর স্কুল অ্যান্ড কলেজে মিষ্টি বিতরণ করা হয়
ইতিহাস সৃষ্টিকারী বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে বিজয়ী হওয়ায় আনন্দে ভাসছে ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী ধোবাউড়া উপজেলার কলসিন্দুর স্কুল অ্যান্ড কলেজে। কারণ, দ্বিতীয়বার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে অংশ নেওয়া বাংলাদেশ দলে আছেন কলসিন্দুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক চার শিক্ষার্থী ও বর্তমান দুই শিক্ষার্থীসহ ছয় ফুটবলার।
এই ছয় ফুটবলার হলেন: শামছুন্নাহার সিনিয়র, শামছুন্নাহার জুনিয়র, তহুরা, সানজিদা, শিউলি আজিম ও মারিয়া মান্দা। টুর্নামেন্টে তহুরা ভুটানের বিপক্ষে তিন গোল ও ভারতের বিপক্ষে দুই গোল করেছেন। শামসুনাহার জুনিয়র ১ গোল দিয়েছেন। ফাইনাল খেলায় সানজিদা ছাড়া বাকি পাঁচজন অংশ নিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বেলা ১২টার দিকে নারী ফুটবলের আঁতুরঘর খ্যাত কলসিন্দুর স্কুল অ্যান্ড কলেজে এ উপলক্ষে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
কলসিন্দুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে মিষ্টি বিতরণের সময় সাথী, রোজিনা, সাদিয়া, আফরোজা, মল্লিকা, হাসিনা ও জিমসহ ৩৪ খুদে নারী ফুটবলার উপস্থিত ছিলেন। আরও উপস্থিত ছিলেন কলসিন্দুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের ফুটবলকন্যাদের মা খ্যাত অধ্যাপক মালা রানী সরকার, ফুটবল কোচ জুয়েল মিয়াসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
কোচ জুয়েল মিয়া বলেছেন, টানা দ্বিতীয়বার বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। এতে দেশবাসীসহ কলসিন্দুরবাসী আনন্দিত।
মালা রানী সরকার বলেছেন, কলসিন্দুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের নারী ফুটবল দলের শুরু থেকেই আমি ছিলাম, এখনও আছি। এবার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলায় কলসিন্দুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের পাঁচ নারী ফুটবলার অংশ নিয়েছে। এতে কলসিন্দুরবাসী যেমন খুশি, দেশবাসীও তেমন খুশি ও আনন্দিত। আমরা প্রত্যাশা করি, নারী ফুটবলাররা জয়ের ধারা অব্যাহত রাখবে এবং দেশবাসীকে এভাবে সব সময় আনন্দ দেবে।
ধোবাউড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও (ভারপ্রাপ্ত) শেখ তাকিত আজমল বলেছেন, ইতোমধ্যে ফুটবলারদের শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে।
মিলন/রফিক