সাতক্ষীরায় ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনি, নিহত ১
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
এবার সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলায় এক ব্যক্তি গিণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১ নভেম্বর) সকালে উপজেলার নলতা ইউনিয়নের খালিষাখালী গ্রামে ডাকাত সন্দেহে কামরুল ইসলাম (৪৮) নামে ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করেন এলাকাবাসী।
সাতক্ষীরা সেনাক্যাম্পের অধিনায় লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল হক জানান, খলিষাখালীর আকরাম, গফুর ও কামরুল নামে ডাকাতদের কাছে অস্ত্র রয়েছে এমন খবরে সেনাবাহিনী অভিযান চালায়। এ সময় স্থানীয় শতাধিক মানুষ তাদের সঙ্গে ছিলন। অভিযানের খবর পেয়ে ডাকাতরা বোমা ফাটাতে থাকলে স্থানীয়রা কামরুলকে ধরে মারধর করে। অভিযানে থাকা সেনাসদস্যরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে ১৫টি হাত বোমা, ৩০টি ছোট হাতবোমাসহ বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে ছয় জনকে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে গরুচোর সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ৩
নিহতের স্ত্রী মর্জিনা খাতুনের দাবি, ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলামের লোকজন তার স্বামীকে তুলে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে।
নিহত কামরুল একই গ্রামের বকর গাজীর ছেলে।
আরও পড়ুন: রংপুরে চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে যুবকের মৃত্যু
এলাকাবাসী জানান, আজ ভোর ৫টার দিকে সেনাবাহিনী খলিষাখালী গ্রামের মৎস্যঘেরে অভিযান চালায়। সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে বোমা ফাটিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে কয়েকজন ডাকাত। সে সময় স্থানীয়রা ডাকাত কামরুলকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। এতে তার মৃত্যু হয়েছে।
ওসি নূর মোহাম্মাদ বলেন, ‘গত ৫ আগস্টের পর খলিষাখালীতে ভূমিদস্যু এবং ডাকাতরা ঘের দখল করে মহড়া দিতে থাকে। সেনাবাহিনী ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার (ক্ষমতা) পেয়ে বিভিন্ন স্থানে অস্ত্র উদ্ধারে নামে। আজ ভোর ৫টার দিকে খলিষাখালিতে অভিযান চালায় সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীর সদস্যরা জানান, গণপিটুনিতে কয়েকজন আহত হয়েছেন। পরে সখিপুর হাসপাতালে কামরুল নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয় বলে জানতে পেরেছি আমরা।’
নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে নলতা ইউপি’র চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘আমার লোকজন সেখানে যায়নি। শুনেছি গণপিটুনিতে একজন মারা গেছে।’
শাহীন/মাসুদ