সিদ্ধিরগঞ্জে চাঁদা না পেয়ে বিএনপি নেতাসহ ৫ জনকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা
নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের রসুলবাগ এলাকায় দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদকসহ পাঁচজনকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১ নভেম্বর) রাতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসীরা জানান, রসুলবাগ এলাকার আনমুন প্যাকেজিং নামে একটি কারখানার মালামাল বিক্রি করে গাড়িতে লোড করার সময় রসুলবাগ এলাকার রিয়াজ উদ্দিন, স্বপন মিয়া ও গিয়াস উদ্দিন পাঁচলাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে ওই মালভর্তি ট্রাক আটকে রাখেন তারা। চাঁদা দাবির সংবাদ পেয়ে আকবর হোসেন সন্ধ্যায় কয়েকজন নেতাকর্মী নিয়ে রসুলবাগ এলাকায় আসলে সঙ্গে সঙ্গে ওই এলাকার রিয়াজ উদ্দিন ও গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে কিশোর গ্যাং নেতা স্বপন মিয়া, আনিস মিয়াসহ ২০-২৫ জনের একটি গ্রুপ রামদা, চাপাতি, চাইনিজ কুড়ালসহ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়।
এসময় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আকবর হোসেনের মাথায় আঘাত করে ও কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। একই সময় তারা বিএনপি নেতা মনোয়ার হোসেন মনা, আল আমিন মিয়া, হানিফ মিয়া ও রুদ্র মিয়াকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে। আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় প্রো-অ্যাকটিভ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আকবর হোসেন ও রুদ্র মিয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন তাদের স্বজনরা।
৩নং ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আহত আল-আমিন মিয়া বলেন, আনমুন প্যাকেজিং নামে একটি ফ্যাক্টরির পুরোনো মালামাল নেওয়ার সময় মালিকের কাছে সন্ত্রাসীরা চাঁদা দাবি করে। খবর পেয়ে আমরা রসুলবাগ এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। আমাদেরকে মারাত্মক আহত ও রক্তাক্ত অবস্থায় এলাকাবাসীরা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। হামলাকারীরা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী ও কিশোর গ্যাং নেতা হিসেবে পরিচিত। আমরা সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।
আহত মনোয়ার হোসেন মনা বলেন, আনমুন প্যাকেজিংয়ের মালামাল বের করার সময় তারা চাঁদা দাবি করে। খবর পেয়ে আমরা এলাকায় আসলে আমাদের হত্যা করতে আক্রমণ চালায়। তারা পূর্ব পরিকল্পিতভাবেই আমাদের ওপর আক্রমণ করেছেন। চাঁদাবাজদের প্রতিহত করতে গিয়েই আমাদের প্রিয় নেতা আকবর হোসেন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
এ ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত রিয়াজ মিয়া, স্বপন মিয়া ও গিয়াস উদ্দিন এলাকা ছেড়েছেন। তাদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তাদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন, থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আকবর হোসেনসহ কয়েকজনের ওপর হামলা করে আহত করার ঘটনায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। আমরা আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্নস্থানে অভিযান চালাচ্ছি।
অনিক/ইমন