মেয়ের জয়ে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত মনিকার বাবা-মা
খাগড়াছড়ি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
সারাদেশের মতো সাফ ফুটবল জয়ের আনন্দ ছড়িয়ে পড়েছে খাগড়াছড়ির পাহাড়ের অজ পাড়া গাঁয়েও। সে আনন্দ আর কোথাও নয়, মনিকা চাকমার গ্রামের বাড়ি খাগড়াছড়ির লক্ষীছড়ি উপজেলার দুর্গম সুমন্ত পাড়া গ্রামে। দুর্গম এই পাড়া গাঁয়ের মেয়ে মনিকার জয়ের আনন্দে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হলেন তার বাবা-মা।
রোববার (৩ নভেম্বর) মনিকার বাড়ি গিয়ে তার বাবা-মাকে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করেন লক্ষীছড়ি উপজেলার নিবাহী কর্মকর্তা ছেনমং রাখাইনসহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বিভিন্ন শ্রেণির-পেশার মানুষ।
মনিকার বাবা বিন্দু কুমার চাকমা বলেন, ‘সাফ ফুটবলে বাংলাদেশ জয় লাভ করায় আমি খুশি, গ্রামবাসীরাও খুশি হয়েছে। এ জয়ে খুশি পুরো দেশবাসী।’
মনিকা চাকমা যেন আগামী সাফ নারী ফুটবলে টানা তৃতীয় বারের মতো বিজয় ছিনিয়ে আনতে পারে সেই প্রত্যাশা করেন এলাকাবাসী।
মনিকা এখন এলাকার মডেল। তাকে দেখে বহু ছেলে-মেয়ে ফুটবল খেলায় আগ্রহী হয়ে উঠছে। তবে মনিকার চাকমার গ্রামে যেতে হলে দুর্গম কাঁচা রাস্তা ও সাঁকো পার হয়ে যেতে হয়। বিশেষ করে বর্ষাকালে অবর্ণনীয় কষ্ট এই পথে যাতায়াত। এই গ্রামে কোনো সুপেয় পানির ব্যবস্থা নেই। নেই বিদ্যুৎ কিংবা মোবাইলের নেটওয়ার্ক।
২০২২ সালে প্রথম চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর বিগত সরকার মানিকার চাকমা বাড়িতে যাওয়ার জন্য রাস্তা, একটি সেতু, গ্রামে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ও মনিকাদের ঘর করে দেওয়ার কথা দিয়েছিল। তবে একটি ঘর ছাড়া আর কোনো কিছুই করে দেননি। স্থানীয়দের দাবি, দেশের সুনাম বয়ে আনা মনিকা চাকমার সব সমস্যাগুলো যেন বর্তমান সরকার সমাধান করে দেন।
মনিকা চাকমার বাবা বিন্দু কুমার চাকমা বলেন, ‘গ্রামের রাস্তা-ঘাটের অবস্থা খুব খারাপ। সেতু দিয়ে পারাপার হতে হয়। মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই। মেয়ের সাথে যোগাযোগ করতেও খুব সমস্যা হয়। এবার খেলাও দেখতে পারিনি। এসব সমস্যার সমাধানের জন্য সরকারের কাছে সহযোগীতা কামনা করছি।’
লক্ষীছড়ি উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ছেনমং রাখাইন বলেন, ‘আমরা কাঁচা রাস্তা ও সাঁকো পার হয়ে এসেছি। বিগত জেলা প্রশাসক রাস্তা করে দেওয়ার কথা বলেছিলেন সেই কথা পূরণের চেষ্টা করা হবে। এছাড়া জেলা প্রশাসকের সাথে আলাপ আলোচনা করে মনিকার চাকমার সমস্যাগুলো সমাধানের ব্যবস্থা করা হবে।’
রূপায়ন চাকমা/সনি