এবার কুষ্টিয়ায় জাতীয় পার্টির সাইনবোর্ড ভাঙচুরের অভিযোগ
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
খুলনার পর এবার কুষ্টিয়ায় জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সাইনবোর্ড ও জানালা ভাঙচুর করেছে একদল মানুষ বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার রাতে শহরের হাউজিং কদমতলায় অবস্থিত দলটির জেলা কার্যালয়ে ঘটনাটি ঘটে।
সোমবার (৪ নভেম্বর) কুষ্টিয়া মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দীপেন্দ্রনাথ সিংহ জানান, ভাঙচুর ঠিক নয়, কে বা কারা জাতীয় পার্টি অফিসের সাইনবোর্ড খুলে রেখে গেছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কুষ্টিয়া জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি নাফিস আহম্মেদ খান টিটু জানান, গতকাল রাত আড়াইটার দিকে ব্যাটারিচালিত ভ্যান ও মোটরসাইকেলে করে আসা ৮/১০ জন যুবক জাতীয় পার্টি কার্যালয়ের সাইনবোর্ড ও জানালা ভাঙচুর করতে শুরু করে। শব্দ শুনে অফিসের দেখভালের দায়িত্বে থাকা স্বপন বাইরে আসলে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাকে গেট খুলে দিতে বলে হামলাকারীরা। পরে ঘটনাস্থলে আসা স্থানীয় কয়েকজনের অনুরোধে তারা সাইনবোর্ড ফেলে রেখে চলে যায়।
জাতীয় পার্টির এই নেতা আরো জানান, রাতেই পুলিশকে ফোন দেওয়া হয়েছিল। তারা আসেনি। অভিযোগের বিষয়ে উদ্ধর্তন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। আজ সোমবার সকালে কার্যালয় পরিদর্শন করে গেছে পুলিশ।
কুষ্টিয়া মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দীপেন্দ্রনাথ সিংহ জানান, জাতীয় পার্টির অফিসে একটি ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে ভাঙচুর ঠিক নয়, কে বা কারা সাইনবোর্ড খুলে রেখে গেছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে খুলনা নগরীর ডাকবাংলা মোড়ে অবস্থিত জাতীয় পার্টির মহানগর ও জেলা কার্যালয়ে হামলা চালায় একদল মানুষ। তারা দলটির কার্যালয়ের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে অগ্নিসংযোগ করে। সেসময় খুলনা কোতোয়ালি থানার ওসি শেখ মুনীর-উল-গিয়াস বলেছিলেন, ‘হামলাকারীদের পরিচয় জানা যায়নি।’
এলাকাবাসী জানান, শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে মিছিল নিয়ে ডাকবাংলা মোড়ে আসেন একদল মানুষ। তারা জাতীয় পার্টির খুলনা মহানগর ও জেলা কার্যালয়ের সাইনবোর্ড ভেঙে ফেলেন। পরবর্তীতে তারা কার্যালয়ের ভেতর প্রবেশ করে চেয়ার এবং টেবিলসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন। ভাঙচুরকৃত মালামাল বাইরে এনে অগ্নিসংযোগ করেন তারা। পরে জাতীয় পার্টির নেতাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে ঘটনাস্থল ছেড়ে যান। এসময় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ভয়ে দোকান বন্ধ করে দেন ব্যবসায়ীরা।
কাঞ্চন/মাসুদ