ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ৬ ১৪৩১

যশোরে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে ব্যবসায়ী নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:২৬, ৫ নভেম্বর ২০২৪   আপডেট: ০৮:৪৫, ৫ নভেম্বর ২০২৪
যশোরে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে ব্যবসায়ী নিহত

নিহত আমিনুর সজল মুন্সী।

যশোরে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে আমিনুর সজল মুন্সী (৪২) নামে এক স্যানিটারি ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। সোমবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় শহরতলী খোলাডাঙ্গা গাজীরবাজারে এই ঘটনাটি ঘটে। 

নিহত সজল খোলাডাঙ্গা সারগোডাউন মুন্সীপাড়ার আজিজুর ইসলাম মিন্টুর ছেলে। তিনি স্থানীয় ওয়ার্ডের জামায়াতকর্মী ছিলেন। নিহত সজলের ৮ বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।

পুলিশ ও নিহতের স্বজনেরা জানান, সম্প্রতি গাজির বাজারে শান্তি শৃঙ্খলা কমিটি গঠন হয়। এই কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন সজল। কমিটি গঠন করা নিয়ে তার প্রতিদ্বন্দ্বীরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটাতে পারেন বলে পুলিশ প্রাথমিক ধারণা করছেন। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। 

সারগোডাউনের সামনে আমিনুর সজলের স্যানিটারি দোকান রয়েছে। মাগরিবের নামাজ পড়ার উদ্দেশ্য দোকান থেকে বাজারের পাশেই মসজিদে যাচ্ছিলো। পথিমধ্যে মোটরসাইকেলে কয়েকজন এসে সজলকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। চিৎকার শুনে পথচারী ও অন্য ব্যবসায়ীরা সজলকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করে। 
  
গাজির বাজারে ব্যবসায়ী ও নিহতের ভাগ্নে আব্দুর রহমান বলেন, ‘সম্প্রতি গাজীর বাজারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে সব ব্যবসায়ীদের মতামতের ভিত্তিতে কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন আমিনুর সজল মুন্সী। তবে একই এলাকার কামরুল বা খোড়া কামরুল এই কমিটির বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। কমিটি করা নিয়ে এর আগেও তিনি ঝামেলা সৃষ্টি করেছিলো। সভাপতির সঙ্গে তার পূর্ব বিরোধ ছিলো। সম্প্রতি কামরুল জেল থেকে মুক্তি পেয়েছে। মুক্তি পেয়েই প্রতিশোধ নিতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটাতে পারে বলে আমরা ধারণা করছি।’ 

যশোর কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) কাজী বাবুল হোসেন বলেন, নিহতের শরীরে একাধিক জায়গায় ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। স্বজনদের অভিযোগ, স্থানীয় কিছু লোকদের সাথে তার পূর্ব বিরোধ ছিলো। পুলিশ মাঠে বিষয়টি তদন্ত শুরু করেছে। তদন্ত শেষেই বিস্তারিত বলা যাবে।

প্রসঙ্গত, আমিনুর সজল মুন্সীসহ গত এক মাসে যশোরে ৯টা হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বেড়েছে চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, লুটপাট, সহিংসতা, হামলার ঘটনা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তায় বেড়েছে এসব অপরাধ প্রবণতা। এতে জনমনে বিরাজ করছে চরম আতঙ্ক। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন অনেকেই। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি ভুক্তভোগীদের।

রিটন/ইমন


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়