ঢাকা     রোববার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ৭ ১৪৩১

পুলিশের বাড়িতে ডাকাত, নিয়ে গেলো তেল-চিনি-আটা 

ফরিদপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৫৩, ৬ নভেম্বর ২০২৪  
পুলিশের বাড়িতে ডাকাত, নিয়ে গেলো তেল-চিনি-আটা 

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) এক উপ-পরিদর্শকের (এসআই) বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি, দরজা ভেঙে বাড়ির ভেতর প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে ডাকাতরা। তারা বিভিন্ন ধরনের মূল্যবান জিনিসপত্রের পাশাপাশি রেশনের তেল, চিনি, আট ও ফ্রিজে থাকা মাংস নিয়ে গেছে।

বুধবার (৬ নভেম্বর) বোয়ালমারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মজিবর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। কেউ থানায় অভিযোগ করেননি।’

এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার শেখর ইউনিয়নের দরিসহস্রাইল গ্রামে নাসিরুদ্দিন বকুলের বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে। তিনি ঢাকায় ডিবি পুলিশে কর্মরত।  

আরো পড়ুন:

ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, ঘরের দরজার হ্যাজবল চাপ দিয়ে ভেঙে ৮-১০ জন ডাকাত ঘরে প্রবেশ করে। তারা নাসিরুদ্দিন বকুলের মা কামরুন্নেছার (৬৫) মাথায় পিস্তল ও তার বড় বোন মুন্নি খানমকে (৪০) ছুরি দেখিয়ে জিম্মি করে। প্রায় ৩-৪ ঘণ্টা সময় নিয়ে ডাকত দল ঘরের ভেতরের আসবাবপত্র তল্লাশি চালিয়ে নগদ ২ লাখ ১০ হাজার টাকা ও ৮-১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়।

নাসিরুদ্দিন বকুলের মা কামরুন্নেছা বলেন, ‘খাবার খেয়ে রাতে আমি ও আমার মেয়ে দরজার হ্যাজবল লক ও ছিটকিনি লাগিয়ে ঘুমিয়ে ছিলাম। ৮-১০ জন ডাকাত দল ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে। তাদের সবার হাতে অস্ত্র ছিল। ডাকাতদের দেখে আমি চিৎকার দেই। তারা আমার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে মেয়ের শয়ন কক্ষে নিয়ে যায়। মেয়েকেও তারা জিম্মি করে। পরে ডাকাতরা আমার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ও কানের দুল খুলে নেয়। ঘর তছনছ করে স্বর্ণালঙ্কার, টাকা ও রেশনের ১০ কেজি তেল, চিনি, আটা এবং ফ্রিজ থেকে ১০ কেজি মাংস নিয়ে যায় তারা।’

নাসিরুদ্দিন বকুলের বোন মুন্নি খানম বলেন, ‘আমার ভাই ডিবি পুলিশের এসআই। সে ঢাকায় কর্মরত। অপর ভাই বিমান বাহিনীতে চাকরি করে। বাড়িতে আমি ও আমার মা থাকি। ডাকাত দল মাকে পিস্তল ঠেকিয়ে আমার রুমে আনে। তারা আমাকেও জিম্মি করে। আমার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন, কানের দুল ভয় দেখিয়ে ছিনিয়ে নেয়। পরে তারা আসবাবপত্র তছনছ করে মায়ের ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য রাখা ২ লাখ ১০ হাজার টাকা ও আমার স্বর্ণের সাড়ে তিন ভরি ওজনের সীতাহার, ৩ ভরি ২ রতী ওজনের স্বর্ণের চুর, ৫ জোড়া স্বর্ণের দুল, ও তিনটি চেইন নিয়ে যায়। তারা ১০ জনের মতো ছিল। 

বোয়ালনারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মজিবর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এটা ডাকাতির ঘটনা নয়, চুরির ঘটনা। এখনো কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

তামিম/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়