ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ০৭ নভেম্বর ২০২৪ ||  কার্তিক ২৩ ১৪৩১

সাত দিনের মধ্যে তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার আহ্বান

রাজশাহী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:০০, ৭ নভেম্বর ২০২৪   আপডেট: ১৬:১৮, ৭ নভেম্বর ২০২৪
সাত দিনের মধ্যে তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার আহ্বান

বিপ্লব ও সংহতি দিবসের উদ্বোধন করেন মিজানুর রহমান মিনু

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সাত দিনের মধ্যে দেশে ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানিয়েছেন দলের চেয়ারপারসনের অন্যতম উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু। 

সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মিজানুর রহমান মিনু বলেছেন, ‘দেশের বাইরে থেকেই তারেক রহমান ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সাহস জুগিয়েছেন। এর ফলে শেখ হাসিনা দেশ থকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। এখন নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আগামী সাতদিনের মধ্যে তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে হবে।’

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সকালে রাজশাহী নগরের সাহেববাজার বড় মসজিদ প্রাঙ্গণে বিপ্লব ও সংহতি দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের জেলা ও মহানগর কমিটি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সেখানে মিজানুর রহমান মিনু বেলুন, ফেস্টুন ও পায়রা উড়িয়ে দিবসের কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

আরো পড়ুন:

মিজানুর রহমান মিনু বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়েছিলেন। তাঁর ঘোষণার মাধ্যমে দেশের সকল শ্রেণিপেশার মানুষ মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে দেশটাকে স্বাধীন করেছিলেন। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতা আন্দোলনের মাধ্যমে হাসিনাকে দেশ থেকে বিতাড়িত করে। আর এই আন্দোলন যখন কঠিন প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে পড়ে যায়, ঠিক তখনই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সুদুর লন্ডনে থেকেও পরামর্শ ও নির্দেশনা দিয়ে আন্দোলনে সাহস জুগিয়েছেন।’

এখন অচিরেই নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত দলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানিয়ে রাজশাহীর সাবেক মেয়র ও সাবেক সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিনু বলেন, ‘দেশের মানুষ এই স্বৈরাচার খুনি হাসিনা থেকে মুক্ত পেতে চাচ্ছিল। তারা মুক্ত হয়েছে। এখন দ্রুত তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে হবে। নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।’

সমাবেশে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ। মুক্তিযোদ্ধা দলের রাজশাহী জেলার আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম খোকার সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন বোয়ালিয়া থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাইদুর রহমান, রাজপাড়া থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি শওকত আলী, মতিহার থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি আনসার আলী, শাহ্ মখ্দুম থানা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাসুদ, বোয়ালিয়া থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম মিলু, সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল হোসেন দিলদার প্রমুখ।
 

কেয়া/বকুল

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়