শিশু মুনতাহার গলায় রশি পেঁচানো লাশ মিললো পুকুরে
সিলেট প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
মুনতাহা আক্তার জেরিনের এই ছবি এখন মা-বাবার কাছে শুধুই স্মৃতি (ছবি: সংগৃহীত)
দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলো চট্টগ্রামের শিশু আয়াতের হত্যাকাণ্ড। আবারও এমন ঘটনা ঘটলো সিলেটে। কানাইঘাট থেকে নিখোঁজের সাত দিন পর শিশু মুনতাহা আক্তার জেরিনের (৫) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার (১০ নভেম্বর) ভোর ৪টার দিকে গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় বাড়ির পাশের পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় প্রতিবেশী দুই নারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। মুনতাহা উপজেলার সদর ইউনিয়নের বীরদল গ্রামের ভাড়ারিফৌদ গ্রামের শামীম আহমদের মেয়ে।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের ৭ দিনেও সন্ধান মেলেনি শিশু মুনতাহার
কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আওয়াল জানান, রোববার ভোরে বাড়ির পাশের পুকুর থেকে শিশু মুনতাহার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার গলায় রশি পেঁচানো ছিল। শরীরে ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। লাশ দেখে বোঝা যাচ্ছে তাকে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই নারীকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, নিখোঁজের পর থেকে মুনতাহার বাবা দাবি করে আসছিলেন, তাকে পরিকল্পিতভাবে অপহরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় কানাইঘাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: নিখোঁজ শিশুর ক্ষত বিক্ষত লাশ উদ্ধার
গত ৩ নভেম্বর সকালে মেয়ে ও ছোট ছেলেকে নিয়ে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ওয়াজ মাহফিল থেকে বাড়ি ফেরেন শামীম আহমদ। এরপর মুনতাহা প্রতিবেশী শিশুদের সঙ্গে খেলতে যায়। বিকেল ৩টার দিকে তাকে খুঁজতে গিয়েও কোনো সন্ধান পায়নি পরিবার।
মুনতাহার সন্ধান ও ‘অপহরণকারীকে’ ধরিয়ে দিতে পারলে এক লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণাও করা হয়।
আরও পড়ুন: আয়াতের লাশের খণ্ডিত অংশ উদ্ধার
২০২২ সালের ২৫ নভেম্বর চট্টগ্রাম নগরীর ইপিডেজ এলাকা থেকে ১০ দিন আগে নিখোঁজ হওয়া ৫ বছর বয়সী শিশু কন্যা আয়াতের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করেছিলো পিবিআই।
পিবিআই জানিয়েছিলো, আয়াতকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়। পরে লাশ ছয় টুকরা করে বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেওয়া হয়।
নূর/ইভা