সবকিছুই ঠিকমত চলছে: উপদেষ্টা
রাঙামাটি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, ‘আমেরিকার ক্ষমতায় কে আসলো, কে আসলো না সেটা বড় বিষয় নয়, আমাদের সম্পর্কটা ঠিক রাখাটাই জরুরি। সেভাবে আমরা নিজেরাই অগ্রসর হচ্ছি। একইভাবে আমাদের প্রতিবেশীর সঙ্গে চিন্তা ভাবনা করছি কীভাবে সম্পর্কে অগ্রসর হবো। সবকিছুই ঠিকমতো চলছে।’
রোববার (১০ নভেম্বর) দুপুরে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য সম্পদ উন্নয়নে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।
সভায় মৎস্যসম্পদ উন্নয়নই নয় কাপ্তাই হ্রদের বহুমুখী ব্যবহারের মাধ্যমে স্থানীয়দের জীবনমান কীভাবে উন্নত করা যায়, সেই বিষয়ে প্রস্তাব ও পরামর্শ দেওয়ার আহ্বান আহ্বান জানান সুপ্রদীপ চাকমা। হ্রদ খননের যে পরিকল্পনা করা হয়েছে সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করারও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আগে ঢাকা থেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে বিভিন্ন অঞ্চলের উন্নয়ন কার্যক্রমের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হতো। যা মাঠ পর্যায়ে ফলপ্রসূ হতো না। আমরা এই ধারা ভাঙ্গতে চাই। স্থানীয় পরিকল্পনাগুলো মাঠ পর্যায়ে বসেই গ্রহণ করতে চাই।’
রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান রিপন চাকমা, পুলিশ সুপার ড. ফরহাদ হোসেন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা অধীর চন্দ্র দাস, বিএফডিসি কমান্ডার আশরাফুল ইসলাম ভূঁইয়া, কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আবুজ্জাহের, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তনয় ত্রিপুরাসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সভায় বক্তারা কাপ্তাই হ্রদের ড্রেজিংয়ের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে বলেন, ষাটের দশকে কাপ্তাই হ্রদ সৃষ্টির পর এখনো ড্রেজিং না হওয়ায় তলদেশ ভরাট হয়ে গেছে। হ্রদে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের কারণে এর আয়তন দিনদিন কমছে। কাপ্তাই হ্রদ এই এলাকার মানুষের জীবিকা অর্জনের অন্যতম মাধ্যম। শুষ্ক মৌসুম শুরুর আগেই হ্রদের পানি শুকিয়ে যাচ্ছে, এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মৎস্যসম্পদ। পাশাপাশি উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগও ব্যাঘাত ঘটছে। দ্রুত কাপ্তাই হ্রদে ড্রেজিংসহ দখল ও দূষণ প্রতিরোধে কার্যকর
ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানান তারা।
শংকর/মাসুদ