ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৪ নভেম্বর ২০২৪ ||  কার্তিক ৩০ ১৪৩১

নান্দাইলে ডাবল মার্ডার: সাবেক এসপি কোহিনূর মিয়া খালাস

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:০১, ১২ নভেম্বর ২০২৪   আপডেট: ২১:০১, ১২ নভেম্বর ২০২৪
নান্দাইলে ডাবল মার্ডার: সাবেক এসপি কোহিনূর মিয়া খালাস

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় ভোটকেন্দ্রে গুলিতে দুইজনের নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দীর্ঘ ২০ বছর ৬ মাস আইনি লড়াই শেষে আলোচিত সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) কোহিনূর মিয়া ও সাবেক পৌর মেয়র আব্দুস ছাত্তার ভুইয়া উজ্জ্বলকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

২০০৪ সালের ৫ মে উপজেলার আচারগাঁও হাই স্কুল কেন্দ্রে পৌর নির্বাচনে ভোট চলাকালে গুলিতে দুই জন নিহত হয়।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিকালে ময়মনসিংহ জেলা অতিরিক্ত দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক সাবরিনা আলী মামলায় আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেন। 

আরো পড়ুন:

আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোস্তাছিনুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আদালত মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ ২২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৪ সালের ৫ মে নান্দাইল উপজেলার আচারগাঁও হাই স্কুল কেন্দ্রে পৌর নির্বাচনে ভোট চলাকালে দুইপক্ষের সংর্ঘষে গুলিবিদ্ধ হয়ে সুজন ও আবু তাহের মারা যায়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে নান্দাইল থানায় মামলা করেন।  

পুলিশ মামলার তদন্ত শেষে আসামি শনাক্ত না হওয়ায় ৩১ আগস্ট ২০০৪ সালে প্রথম দফা, ১৯ ডিসেম্বর ২০০৪ সালে দ্বিতীয় দফা ও ২২ ডিসেম্বর ২০০৪ সালে তৃতীয় দফা চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।

নান্দাইল পৌরসভার নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা রফিক উদ্দিন ভুইয়া নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে হেরে যাওয়ার পর ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হলে নান্দাইলের সাবেক এমপি খুররম খান চৌধুরী, সাবেক পুলিশ সুপার কোহিনুর মিয়া ও পৌর মেয়র আব্দুস ছাত্তার ভুইয়া উজ্জ্বলসহ ৬ জনের নামে ২০০৭ সালে ২৫ মার্চ আদালতে মামলা করেন।

আদালতের নির্দেশে নান্দাইল থানার উপপরিদর্শক জসিম উদ্দিন মামলা পুনরায় তদন্ত করে প্রমাণ না হওয়ায় ৯ সেপ্টেম্বর ২০০৭ সালে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করেন। পরে ২০০৭ সালে ১০ নভেম্বর ভিকটিম সুজনের বাবা ও তাহেরের স্ত্রীর আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেন।

তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ নেতা রফিক উদ্দিন ভুইয়া নারাজি দিয়ে ২০০৮ সালে ১৮ মার্চ জেলা জজ আদালতে রিভিশন দায়ের করেন। পরবর্তীতে জেলা জজ আদালতের বিচারক মামলা সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার ইসমাইল হোসেন ২০১১ সালে ৩ জুলাই এসপি কোহিনুর মিয়া ও নান্দাইল পৌর সভার মেয়র আব্দুস ছাত্তার ভুইয়া উজ্জ্বলের নামে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলাটি দীর্ঘ ২০ বছর ৬ মাস ৩ দিন চলাকালে আদালত মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ ২২ জনের সাক্ষ্য নিয়েছেন।

নান্দাইলের সাবেক পৌর মেয়র আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া উজ্জ্বল রায় শুনে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, দীর্ঘ ২০ বছর পর আদালতের কাছে ন্যায় বিচার পেয়েছেন। অপর আসামি এসপি কোহিনুর মিয়া আদালতে হাজির ছিলেন না। 
 

মিলন/বকুল

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়