ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ৭ ১৪৩১

গৃহবধূর মৃত্যুতে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ, ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ লাপাত্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:১২, ১৩ নভেম্বর ২০২৪   আপডেট: ১৯:২০, ১৩ নভেম্বর ২০২৪
গৃহবধূর মৃত্যুতে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ, ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ লাপাত্তা

গাজীপুর শহরের হলিল্যাব মেডিকেল সেন্টার ক্লিনিকে টনসিল আক্রান্ত হয়ে অপারেশন করতে গিয়ে আছিয়া খাতুন (২৫) নামে গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে নগরীর শিববাড়ী এলাকার ওই ক্লিনিকে নার্সদের ভুল ইনজেকশনে রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন। মৃত্যুর পর হাসপাতাল থেকে কর্তৃপক্ষের লোকজন পালিয়ে গেছেন।

নিহত আছিয়া খাতুন রাঙামাটির লংগদু উপজেলার আমির হামজার স্ত্রী। তারা গাজীপুর মহানগরীর ভোগরা বাইপাস এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন।

মৃত্যুর সংবাদ শুনে রোগীর স্বজনরা ক্লিনিকে আসার খবর পেয়ে মালিক, নার্স ও স্টাফরা পালিয়ে যান। খবর পেয়ে সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আরো পড়ুন:

নিহতের স্বামী আমির হামজা বলেন, ‘আমার স্ত্রীর সম্প্রতি গলায় টনসিলের সমস্যা হচ্ছিল। এ জন্য তাকে নাক, কান ও গলার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মোস্তফা কামাল হোসেনের কাছে নিয়ে যাই। তিনি অপারেশন করার পরামর্শ দেন। আমি বাসায় গিয়ে রাতে সিদ্ধান্ত নেই অপারেশন করার। আমার ছোট সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে ক্লিনিকে আসি। চিকিৎসক দুপুর ২টার পর অপারেশন করার কথা জানান এবং আমাকে কিছু ওষুধ কিনে আনতে বলেন। ওষুধগুলো আনার পর দুইজন নার্স আমার সামনে আমার স্ত্রীকে ইনজেকশন পুশ করেন। ইনজেকশন দেওয়ার পর আমার স্ত্রীর মুখ দিয়ে সাদা ফেনা বের হতে শুরু করে। এরপর হাত-পা ছুঁড়তে ছুঁড়তে কয়েক মিনিটের মধ্যে মারা যান। পরে ওই দুই নার্সসহ হাসপাতালের সবাই পালিয়ে যায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার স্ত্রী গলার টনসিল ছাড়া অন্য সমস্যা ছিল না। তাদের ভুল চিকিৎসায় স্ত্রী মারা গেছেন। এখন আমি ছোট দুই সন্তান নিয়ে কী করব? বাকি জীবন কীভাবে চলব? আমি এদের বিচার চাই।’ 

এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। হাসপাতালে গিয়েও কাউকে পাওয়া যায়নি।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আরিফুর রহমান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। 

রেজাউল/বকুল

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়