ঢাকা     শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ১ ১৪৩১

ধর্ষণ-অপহরণ মামলায় কারাগারে সাবেক মন্ত্রী চন্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:২৬, ১৪ নভেম্বর ২০২৪   আপডেট: ১৯:৩২, ১৪ নভেম্বর ২০২৪
ধর্ষণ-অপহরণ মামলায় কারাগারে সাবেক মন্ত্রী চন্দ

খুলনার ডুমুরিয়ায় একটি আলোচিত নারী অপহরণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে দায়ের করার মামলায় সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক রাকিবুল ইসলাম তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠান। একইসাথে এ মামলার অপর আসামি এমরান হোসেন গাজীকেও কারাগারে পাঠানো হয়।

এর আগে আদালত প্রাঙ্গণে ভূমিমন্ত্রীকে হাজির করার পর এজলাসে নেওয়ার জন্য প্রিজন ভ্যান থেকে নামানোর সময় বিক্ষুব্ধ জানতা তাকে লক্ষ্য করে ডিম ও ইট নিক্ষেপ করে। এ ঘটনার পর পুলিশ চারদিক থেকে কর্ডন করে নারায়ণ চন্দ্র চন্দকে এজলাসে নিয়ে যায়। পরে তার ফাঁসির দাবিতে বিক্ষুব্ধ জনতা স্লোগান ও মিছিল করে।

আদালতের এজাহার মতে, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক নারীকে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণ করে আসছিলেন ডুমুরিয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহম্মেদ। চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি রাতে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে ঐ নারীকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়। পরেরদিন হাসপাতালের ওসিসির (ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার) সামনে থেকে কয়েকজন লোক জোরপূর্বক ভুক্তভোগীকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। 

অভিযুক্তরা সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দের ঘনিষ্ঠ সহচর ও অনুসারী। তাদের বাঁচাতে তৎকালীন মন্ত্রী অবৈধ প্রভাব বিস্তার করায় চিকিৎসা শেষ হওয়ার পূর্বেই তাকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেওয়া হয়। এরপর তাকে বিভিন্ন স্থানে আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে মিথ্যা বক্তব্য দিতে বাধ্য করা হয়। উক্ত ঘটনায় ধর্ষণ ও অপহরণের শিকার ঐ নারীর খালাতো ভাই পরিচয়দানকারী গোলাম রসুল বাদী হয়ে গত ৯ অক্টোবর আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুাল-৩ এ ধর্ষণ ও অপহরণের অভিযোগ করেন। 

পরে আদালত ঘটনাটি তদন্ত করে নগরীর সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা করার নির্দেশ দিলে গত ১৭ অক্টোবর ডুমুরিয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহম্মেদসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ণচন্দ্র চন্দ ঐ মামলার ২ নম্বর আসামি।

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার খুলনা বিভাগীয় সমন্বয়কারী মোমিনুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ১টার দিকে মামলার ২ নম্বর আসামি নারায়ণচন্দ্র চন্দ ও ৮ নম্বর আসামি ইমরান গাজীকে খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এ হাজির করা হয়। আদালতে নেওয়ার আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শতাধিক নেতাকর্মী ও ক্ষুব্ধ জনতা নারায়ণচন্দ্র চন্দের ওপর ডিম নিক্ষেপ করে। কয়েকটি ডিম তার গায়ে লেগে ফেটে যায়। এতে তার পরনের পোশাক নষ্ট হয়ে যায়। 

তিনি বলেন, ‘আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় বাদী এতদিন বিচার পাননি। তবে দেশে বর্তমানে আইনের শাসন কায়েম হওয়ায় নির্যাতিত নারী সঠিক বিচার পাবে বলে আশা করছি।’

ঢাকা/নুরুজ্জামান/সনি


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়