ঢাকা     শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ১ ১৪৩১

ছাত্র আন্দোলনে নিহত আব্দুল্লাহর বাড়িতে শ্রম উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:২৪, ১৪ নভেম্বর ২০২৪   আপডেট: ২০:৩০, ১৪ নভেম্বর ২০২৪
ছাত্র আন্দোলনে নিহত আব্দুল্লাহর বাড়িতে শ্রম উপদেষ্টা

উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত আব্দুল্লাহর বাড়িতে গিয়ে স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত আব্দুল্লাহর স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে যান নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।

উপদেষ্টা আজ বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বেনাপোল স্থলবন্দরে নির্মিত কার্গো ভেহিক্যাল টার্মিনাল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসে আব্দুল্লাহর মৃত্যুর খবর পান। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি বেনাপোল পোর্ট থানার বড়আঁচড়া গ্রামে আব্দুল্লাহর বাড়িতে যান। এ সময় আব্দুল্লাহর মামা ইসরাইল সর্দার ও বড় দুই ভাই উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলেন। সাখাওয়াত হোসেন তাদের সান্ত্বনা দেন এবং সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি আব্দুল্লাহর কে যেখানে কবর দেওয়া হবে, সেই স্থান ঘুরে দেখেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মাথায় গুলিবিদ্ধ আবদুল্লাহ (২৩) ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সকাল ৮টার দিকে আব্দুল্লাহর মৃত্যু হয়। তার লাশ রাতে গ্রামে পৌঁছাবে।

আরো পড়ুন:

মেধাবী ছাত্র আব্দুল্লাহ যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার বড়আঁচড়া টার্মিনাল পাড়া গ্রামের দিনমজুর আব্দুল জব্বাবের ছেলে। মা মাবিয়া বেগম। তারা তিন ভাই ও এক বোন। আব্দুল্লাহ ছিল সবার ছোট। তিনি ঢাকায় বোনের বাসায় থেকে লেখাপড়া করতেন। তিনি রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। আন্দোলনের শুরু থেকে আবদুল্লাহ সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন।

গত ৫ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজধানীর তাঁতীবাজার মোড়ে বংশাল থানার সামনে গুলিবিদ্ধ হন আবদুল্লাহ। তার কপালে গুলি লাগে। এ অবস্থায় প্রায় দুই থেকে তিন ঘণ্টা তিনি রাস্তায় পড়ে থাকেন।

আব্দুল্লাহকে প্রথমে মিটফোর্ড এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রপচার করে মাথা থেকে গুলি বের করা হয়। তবে রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকলেও ১০ আগস্ট তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।

এরপর তাকে বেনাপোলে নিয়ে আসেন স্বজনরা। বাড়িতে তার অবস্থার অবনতি হতে থাকলে ১১ আগস্ট রাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকেরা দ্রুত আবারও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। 

গত ১২ আগস্ট সকাল ৭টায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা মাথার ভেতরে ইনফেকশন দেখতে পান, যা তরল প্লাজমার মতো গলে গলে পড়তে থাকে। আবারও তার অপারেশন করা হয়। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় গত ২২ আগস্ট তাকে সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়।

আগামীকাল শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) নামাজে জানাজা শেষে গ্রামের কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
 

রিটন/বকুল

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়