খুলনায় সাবেক আইজিপিসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা || রাইজিংবিডি.কম
পুলিশের সাবেক আইজিপি ও কেএমপির সাবেক কমিশনারসহ ১৯ জনের নামে আদালতে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট খালিশপুর আমলী আদালতে আনিছা সিদ্দিকা মামলাটি করেন।
আদালত মামলা গ্রহণ করে তদন্তের জন্য খালিশপুর থানা পুলিশকে আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী শফিকুল ইসলাম লিটন।
মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, কেএমপির সাবেক পুলিশ কমিশনার মোজাম্মেল হক, সহকারী পুলিশ কশিনার গোপিনাথ কাঞ্জিলাল, খালিশপুর থানার তৎকালীন অফিসার ইনচার্জ শেখ মুনীর উল গিয়াস (বর্তমানে খুলনা থানায় কর্মরত), এসআই গোলাম মোস্তফা, এসআই রেজোওয়ান উজ্জামান, এসআই এসকেএম শরিফুল ইসলাম, এসআই সাগর হালদার, কনস্টেবল তানজিন আক্তার, এসআই সঞ্জিত কুমার মন্ডল, এসআই রফিকুল ইসলাম, এএসআই শেখ নুরুজ্জামান, এসআই আরিফুজ্জামান, কনস্টেবল সাজ্জাদুল ইসলাম, কনস্টেবল কামরুন্নেছা হ্যাপি ও এসআই রাকিবুল ইসলাম।
এছাড়া বয়রা এলাকার ইয়াছিন আরাফাত, সৈয়দ নাহিদুজ্জামান, সৈয়দ নজিরুজ্জামানসহ অজ্ঞাতনামা ১০-১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বাদীর ছেলে যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা তানজিলুর রহমান ২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন ‘বিসা বালির হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে মাওলানা দেলওয়ার হোসাইন সাঈদী জড়িত নয়। যেটি বিসা বালির ভাই সুখরঞ্জন বালি মাওলানা দেলওয়ার হোসাইন সাঈদীর জানাজায় উপস্থিত হয়ে মন্তব্য করেন’। স্ট্যাটাস দেওয়ার পর ২০২৩ সালের ২০ আগস্ট দুপুরে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার মোজাম্মেল হক, সাবেক সহকারী পুলিশ কমিশনার গোপিনাথ কাঞ্জিলাল ও খালিশপুর থানার তৎকালীন অফিসার্স ইনচার্জ মুনীর উল গিয়াসের নেতৃত্বে ১৬ জন পুলিশ কর্মকর্তাসহ স্থানীয় তিনজন ও আরও ১০-১৫ জন খালিশপুর থানাধীন ৫/১ বয়রা হাজী ফয়েজ উদ্দিন রোডে বাদীর বাবার বাড়িতে আসেন। তারা ওই বাড়ির তৃতীয় তলায় ঘরের দরজা খোলার জন্য অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ত্রাস সৃষ্টি করেন। এরপর আনিছা ছিদ্দিকা দরজা খুলে দেন। দরজা খুলতে দেরি হওয়ার কারণে ওসি মুনীর উল গিয়াস তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। তখন তাকে সহকারী পুলিশ কমিশনার ও ওসি তার ছেলের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করেন। আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে ঘরের মালামাল ভাংচুর ও তছনছ করতে থাকেন। তারা ঘর থেকে ৩টি ল্যাপটপ, যার অনুমানিক মূল্য দেড় লাখ টাকা এবং ৪টি মোবাইল ফোন নিয়ে যান। এরপর তারা বাড়ির দ্বিতীয় তলায় ভাংচুর করেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী শফিকুল ইসলাম লিটন জানান, এ ঘটনার পর পুরো বিশ্বে সমালোচনা হয়েছে। এ ঘটনায় আদালত মামলা গ্রহণ করেছেন। খালিশপুর থানাকে তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে আদেশ দিয়েছেন।
নুরুজ্জামান/বকুল