পাকিস্তানের জাহাজে কী এসেছে জানালো বন্দর কাস্টমস
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম || রাইজিংবিডি.কম
পাকিস্তান থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে আসা আলোচিত জাহাজ এমভি ইউয়ান জিয়ান ফা ঝং নামের জাহাজে কি পণ্য এসেছে তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা আলোচনা ছড়িয়ে পড়েছিলো।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম বন্দরের কাস্টমস কর্তৃপক্ষ সেই জাহাজে কি পণ্য এসেছে তা বিস্তারিত জানিয়েছেন।
কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, জাহাজটিতে মূলত গার্মেন্টস শিল্পের কাঁচামাল, পেঁয়াজ, আলু, চুনাপাথর, কাঁচ, কাপড়, গাড়ির যন্ত্রাংশসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি হয়েছে। পাকিস্তানের ১৮টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে এসব পণ্য সরবরাহ করেছে।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইদুর রহমান জানান, পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরে এমভি ইউয়ান জিয়ান ফা ঝং নামের যে জাহাজ এসেছে সেই জাহাজ থেকে সর্বমোট ৩৭০টি একক কনটেইনার চট্টগ্রাম বন্দরে নামানো হয়েছে। এর মধ্যে ২৯৭ একক কনটেইনার এসেছে করাচি বন্দর থেকে, আর বাকি ৭৩ একক কনটেইনার এসেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে।
কাস্টমস-এর কাছে আসা তালিকা অনুযায়ী, এই জাহাজের কনটেইনার সমূহে আমদানি হয়েছে টেক্সটাইল শিল্পে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের কাঁচামাল, এর মধ্যে আছে ১১৫ কনটেইনার সোডিয়াম কার্বনেট বা সোডা অ্যাশ, ৪৬ কনটেইনার খনিজ পদার্থ ডলোমাইট, ৩৫ কনটেইনারে চুনাপাথর এবং ৬ কনটেইনারে ম্যাগনেশিয়াম কার্বোনেট। এছাড়া আমদানি হয়েছে ১০ কনটেইনার কাচশিল্পের কাঁচামাল ভাঙা কাচ, ২৮ কনটেইনার শতভাগ রপ্তানিমুখী পোশাকশিল্পের কাঁচামাল কাপড়, রং। এক কনটেইনার গাড়ির যন্ত্রাংশ এবং ৪২ কনটেইনার পেঁয়াজ, ১৪ কনটেইনার আলু।
পাকিস্তান ও আমিরাত থেকে এসব পণ্য আমদানি করেছে আকিজ গ্লাস ফ্যাক্টরি, নাসির ফ্লোট গ্লাস, চট্টগ্রামের প্যাসিফিক জিনস, এক্স সিরামিকস, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, ঢাকার হাফিজ করপোরেশন, এম আর ট্রেডিংস ও চট্টগ্রামের আল্লাহর রহমত স্টোর।
জাহাজটি কনটেইনারগুলো নামিয়ে দিয়ে ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর ত্যাগ করেছে। আমদানিকারকরা তাদের আমদানিকৃত পণ্য খালাস নিতে ইতিমধ্যে কাস্টমস-এর প্রক্রিয়া শুরু করেছেন বলে বন্দর কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে পাকিস্তান থেকে সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য আমদানি প্রসঙ্গে দেশের বৃহত্তম ভোগ্যপণ্যের বাজার খাতুনগঞ্জের ফারুক ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের কর্ণধার ফারুক আহমেদ জানান, এর আগে করাচি থেকে কোন পণ্য সরাসরি আমদানি হতো না। পাকিস্তান থেকে কোন পণ্য আমদানি করতে হলে সেসব পণ্য প্রথমে শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া কিংবা সিঙ্গাপুরের বন্দরে এনে ফিডার জাহাজে চট্টগ্রামে পাঠানো হতো। এখন সরাসরি পাকিস্তান থেকে জাহাজ আসায় আমদানি খরচ অনেক কমে যাবে। বাঁচবে সময়ও।
ঢাকা/রেজাউল/টিপু